পিএসজি যখন একাই ১৪!

এবারও পিএসজির শিরোপা জয় দেখার সম্ভাবনাই বেশি। ছবি: এএফপি
এবারও পিএসজির শিরোপা জয় দেখার সম্ভাবনাই বেশি। ছবি: এএফপি

ফ্রেঞ্চ লিগকে একঘেয়ে বানিয়ে ফেলেছে পিএসজি। দুই মৌসুম আগ এমবাপ্পে-বার্নার্দো সিলভাদের দুর্দান্ত মোনাকো দলটিই শুধু পিএসজির জয় রথে বাধা হতে পেরেছিল। কিন্তু নেইমার-এমবাপ্পের মতো তারকাদের দলে টেনে সেসব দিনকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। কাতারের অর্থে বলীয়ান এই ক্লাবের সঙ্গে পারা যে কত অসম্ভব, সেটা বোঝা গেছে লেকিপের এক খবরেও। লিগের ১৪টি দলের সম্মিলিত বাজেটের চেয়েও বড় বাজেট নিয়ে খেলতে নামে পিএসজি!

দলবদলের বাজারে ইউরোপের পরাশক্তিদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পিএসজি। এ দলবদলে অবশ্য এখনো পর্যন্ত কারও পাতে ছাই দেয়নি, কিন্তু এখনো কোনো খেলোয়াড়ের নামের পাশে পিএসজির নাম শোনা গেলেই শঙ্কিত হয়ে উঠে বড় বড় ক্লাবগুলো। এ মৌসুমে নেইমারকে ধরে রাখায় সব মনোযোগ দেওয়াতেই হয়তো দলবদলে অতটা ব্যস্ত নয় ক্লাবটি। শুধু রক্ষণে আবদু দিয়ালোকে ৩২ মিলিয়ন ইউরোতে কেনাটাই এবারে পিএসজির সবচেয়ে বড় অঙ্কের দলবদল।

ফ্রেঞ্চ লিগের বর্তমান অবস্থা বোঝাতে দিয়ালোর দলবদলকেই উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা যাক। লিগে এবার সবচেয়ে কম বাজেটের দল নিমস। তারা এবার ২৭ মিলিয়ন ইউরোর বাজেট নিয়ে নেমেছে, যা দিয়ালোর দলবদলের অংক থেকে ৫ মিলিয়ন কম। কম বাজেটের দিক থেকে দুইয়ে থাকা ব্রেস্টের সম্বল ৩০ মিলিয়ন, তার ওপরে থাকে এমিয়েন্সেরও তাই। আর অ্যাঁজার বাজেট এক দিয়ালোকে কিনতেই খরচ করেছে পিএসজি।

বাস্তবতা হলো, লিগ ওয়ানে এবার ১৪টি দলের সম্মিলিত বাজেট ৬১৫ মিলিয়ন ইউরো। আর পিএসজির বাজেট ৬৩৭ মিলিয়ন ইউরো। এমবাপ্পে-নেইমার-ডি মারিয়া-কাভানিদের নিয়ে গড়া এ দলের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে লিগের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দলকেও এক জোট হতে হবে। কারণ, গত মৌসুমের পর মৌসুমেও পিএসজির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারা ক্ষমতা রাখা অলিম্পিক লিঁওর বাজেট ৩১০ মিলিয়ন ইউরো। এমবাপ্পে-সিলভা-লেমারদের হারিয়ে ফেলা মোনাকোর বাজেট ২২০ মিলিয়ন। চারে থাকা লিলের বাজেট ১২০! ফ্রান্সে পিএসজির শিরোপা জয় আটকানো এবারও তাই প্রায় অসম্ভব।