ভারতের নারী খেলোয়াড়ের আয় ৫৫ লাখ ডলার

বাৎসরিক ৫৫ লাখ ডলার আয় করেন ভারতের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু। ছবি: এএফপি
বাৎসরিক ৫৫ লাখ ডলার আয় করেন ভারতের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু। ছবি: এএফপি
ফোর্বস-এর দেওয়া ১৫ জনের তালিকায় সর্বোচ্চ আয়ের নারী খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম তিনজনই টেনিস তারকা। টেনিসের বাইরের খেলোয়াড় মাত্র ৩ জন। এই ৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় অ্যালেক্স মরগানের। তালিকায় ১২ নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবল দলের এই সদস্যের এক বছরের আয় ছিল ৫৮ লাখ ডলার। ভারতের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু আর থাইল্যান্ডের গলফার আরিয়া জুতানুগার্নের আয় সমান ৫৫ লাখ ডলার করে।


ভারতের একমাত্র মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে ফোর্বসের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু। ফোর্বস সাময়িকী এই তালিকা তৈরি করে অ্যাথলেটদের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট থেকে আয়, বোনাস, বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির অর্থের বিচারে। শেষ মৌসুমে সিন্ধুর মোট আয় ছিল ৫৫ লাখ ডলার। সে বিচারে বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়ের নারী খেলোয়াড়দের তালিকায় ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকার অবস্থান তেরোতম।

তালিকার এক নম্বরে আছেন টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস। সেরেনার সঙ্গে কোনোভাবেই তুলনায় আসার কথা নয় নাওমি ওসাকার। জাপানের ২১ বছর বয়সী তরুণী গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতেছেন মাত্র দুটি। আর সেরেনার শোকেসে গ্র্যান্ড স্লাম ২৩ টি। কিন্তু এই দুজন একসঙ্গে আলোচনায় আসছেন গত বছরের ইউএস ওপেনের ফাইনাল থেকে। সেবার সেরেনাকে হারিয়ে নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন ওসাকা। ম্যাচে চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করে বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছিলেন সেরেনা।

সেই ফাইনাল হারার পর কালই আবার প্রথম ওসাকার মুখোমুখি হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা। টরন্টোতে রজার্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওসাকাকে ৬-৩,৬-৪ গেমে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন সেরেনা। তবে ২০১৮ সালের ইউএস ওপেনের ফাইনালে হেরে যাওয়ার বিষয়টি এখনো ভুলতে পারছেন না উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ে, ‘এটা এখনো কষ্ট দেয়। তবে পৃথিবীর শেষ এখানেই নয়।’

কোর্টের মতো অর্থবৃত্তের লড়াইয়েও প্রতিযোগিতা চলছে সেরেনা-ওসাকার। সেখানেও অবশ্য সেরেনার কাছে হেরে গেছেন জাপানি তরুণী। ফোর্বস সাময়িকীর তালিকা অনুযায়ী টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়ের নারী খেলোয়াড় হয়েছেন সেরেনা। ২০১৮ সালের ১ জুন থেকে এ বছরের ১ জুন পর্যন্ত ১২ মাসে তাঁর আয় ২ কোটি ৯২ লাখ ডলার।

তালিকায় ওসাকা আছেন সেরেনার পরই। ২০১৮ সালের ইউএস ওপেনের ফাইনালে সেরেনাকে হারিয়ে দিয়ে টেনিস-বিশ্বকে বিস্ময় উপহার দেওয়া জাপানি তরুণী গত জানুয়ারিতে জেতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা। এর পুরস্কারও রাতারাতিই পেয়ে যান ২১ বছর বয়সী ওসাকা। সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়ে এ বছরের এপ্রিলে তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে নাইকি। ওসাকার আয়টাও তাই গত এক বছরে ছিল ঈর্ষণীয়। সেরেনা, মারিয়া শারাপোভা ও লি নার পর এক বছরে দুই কোটি ডলার আয় করা চতুর্থ নারী খেলোয়াড় হয়ে যান ওসাকা। ফোর্বস যে ১২ মাস সময়কাল ধরে হিসাব করেছে, সেই সময়ে ওসাকার মোট আয় ছিল ২ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।

একদিক থেকে ওসাকা তো সেরেনার চেয়েও এগিয়ে। ওই এক বছরে তিনি যে উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ের চেয়ে অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন অনেক বেশি। সেরেনা যেখানে এই ১২ মাসে ৪২ লাখ ডলার অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন, এই খাত থেকে ওসাকার আয় প্রায় দ্বিগুণ—৮৩ লাখ ডলার।

ফোর্বস-এর দেওয়া ১৫ জনের তালিকায় টেনিসের বাইরের খেলোয়াড় মাত্র ৩ জন। এই ৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় অ্যালেক্স মরগানের। তালিকায় ১২ নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবল দলের এই সদস্যের এক বছরের আয় ছিল ৫৮ লাখ ডলার। ভারতের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু আর থাইল্যান্ডের গলফার আরিয়া জুতানুগার্নের আয় সমান ৫৫ লাখ ডলার করে।