বাংলাদেশ কোচের 'শক্তি' বাড়ানোর সফটওয়্যার আসছে

ম্যাচ পর্যালোচনা করার জন্য সফটওয়্যার পাচ্ছেন জেমি ডে। প্রথম আলো ফাইল ছবি
ম্যাচ পর্যালোচনা করার জন্য সফটওয়্যার পাচ্ছেন জেমি ডে। প্রথম আলো ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচিং বহরে যোগ হতে যাচ্ছে ‘স্পোর্টস কোড’ সফটওয়্যার। যার কাজ ম্যাচ পর্যালোচনা করা।


অনেক আগেই কম্পিউটারনির্ভর হয়ে পড়েছে ফুটবল। বিশ্ব ফুটবলের প্রায় সব দেশই দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে প্রযুক্তিগত সুবিধা। পেছনে পড়ে আছে শুধু বাংলাদেশের মতো হাতে গোনা কিছু দেশ। তবে আশার কথা, দেরিতে হলেও প্রযুক্তি কাজে লাগাতে চাচ্ছে বাংলাদেশও। ম্যাচ পর্যালোচনা করার জন্য ‘স্পোর্টস কোড’ নামে একটি সফটওয়্যার কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের শুরু থেকেই এই সফটওয়্যারের সুবিধা নিতে পারবেন বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফরা।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাই শুরু করবে বাংলাদেশ। পুরো বাছাইয়ে বাংলাদেশকে খেলতে হবে কমপক্ষে আটটি ম্যাচ। বিশ্বকাপ বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক দূরের বাতিঘর হলেও এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার সুযোগ তো থাকছেই। কাজটা অনেক কঠিন হলেও অসম্ভব তো নয়! তাই বেশ কিছুদিন আগেই ম্যাচ পর্যালোচনা করার জন্য বাফুফের কাছে ‘স্পোর্টস কোড’ সফটওয়্যারের চাহিদা দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই যা যোগ হবে কোচিং বহরে। নিশ্চিতভাবে এতে বেড়ে যাবে জেমির ‘শক্তি’।

সফটওয়্যারের পেছনে বাফুফের আনুমানিক ৮ থেকে ১০ হাজার ডলার (৬-৮ সাড়ে লাখ টাকা) খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘কোচ জেমি ও টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলি ম্যাচ পর্যালোচনা করার জন্য আমাদের কাছে স্পোর্টস কোডের চাহিদা দিয়েছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই সফটওয়্যারটি চলে আসবে। এর পেছনে ৮-১০ হাজার ডলার খরচ হবে।’

এ সফটওয়্যারটির কাজ কী? ম্যাচে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্সের খুঁটিনাটি তথ্য সরবরাহ করবে। খেলোয়াড়দের পজিশন কোথায় ছিল, কতগুলো পাস করছে, কোথায় ভুল করছে, শারীরিক অবস্থা জানানোসহ আরও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। ফুটবল–বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তো অবশ্যই, প্রতিবেশী দেশগুলোয় অনেক আগে থেকেই এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে আসছে।

এই বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ দলে যোগ হয়েছে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম)। মাঠে খেলোয়াড়েরা কতটুকু দৌড়ালেন, তা জানা যায় জিপিএসের মাধ্যমে। ছোট এ ডিভাইসটি খেলোয়াড়দের জার্সির নিচে আলাদা করে লাগানো থাকে। অনেক দেরিতে হলেও জিপিএসের পর ‘স্পোর্টস কোড’ যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।