১৭ আগস্টে চলে আসছে এপ্রিল

আবাহনী লিমিটেডের প্রতিপক্ষ এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ঢাকা আসছে কাল। ছবি: প্রথম আলো ও সংগৃহীত
আবাহনী লিমিটেডের প্রতিপক্ষ এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ঢাকা আসছে কাল। ছবি: প্রথম আলো ও সংগৃহীত
আবাহনীর এএফসি কাপের প্রতিপক্ষ এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ঢাকা আসছে আগামীকাল। প্রথম পর্বের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায়। ফিরতি পর্ব ২৮ আগস্ট উত্তর কোরিয়ায়।

এএফসি কাপে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্ব বা আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আবাহনী লিমিটেড। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে ফাইনালে ওঠার লড়াই। প্রথম ম্যাচটি ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। নিজেদের অ্যাওয়ের ম্যাচটি খেলার জন্য চার দিন আগেই আগামীকাল ১৭ আগস্ট ঢাকা আসতে যাচ্ছে কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল।

সাধারণত অ্যাওয়ের ম্যাচ খেলার জন্য দুই দিন আগে ভেন্যু শহরে পৌঁছে থাকে বিদেশি দলগুলো। কিন্তু এপ্রিল ক্লাবের চার দিন আগে আসার কারণ ফ্লাইট শিডিউল। উত্তর কোরিয়া থেকে ঢাকায় আসার ফ্লাইট খুবই সীমিত হওয়ায় আগেভাগে চলে আসতে হচ্ছে। ইতমধ্যে ঈদের ছুটি কাটিয়ে আবাহনীও ফিরেছে অনুশীলনে।

এপ্রিলের বিপক্ষে ম্যাচ দুইটির জন্য নতুনে দুইজন বিদেশি খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী। একজন দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার তা মিন লি ও অন্যজন মিসরীয় সেন্টারব্যাক আলেদিন নাসের। দলের ফাঁক ফোকর পূরণ করতে নতুন দুজন বিদেশি ফুটবলার নেওয়া। মাসি সাইগানির ওপর ভর করে এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে আবাহনী। আফগানিস্তানের এই ডিফেন্ডার আবাহনী ছেড়ে যাওয়ায় মিসরীয় ডিফেন্ডারকে আনা। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ওয়েলিংটন প্রিয়রিও অনেক দিন ধরে ইনজুরিতে। ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডারের জায়গা পূরণ করতে কোরিয়ান মিডফিল্ডার লি।

মিসরীয় ডিফেন্ডার নাসের দুই বছর আগে মালদ্বীপের ক্লাব টিসি স্পোর্টসের হয়ে বাংলাদেশে শেখ কামাল গোল্ডকাপ খেলে গিয়েছেন। তখন থেকেই তাঁকে চেনা আবাহনীর। বর্তমানে কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না থাকায় অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারকে নেওয়া। আর ২১ বছর বয়সী মিডফিল্ডার লি দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ ‘কে’ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এই দুজনের সঙ্গে পুরোনো নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা ও হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কেভিন বেলফোর্ট।

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা। ৬ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ের বিপরীতে একটি মাত্র ম্যাচ হেরে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। তাদের প্রতিপক্ষ এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের পারফরমেন্স ছিল আরও দুর্দান্ত। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ের বিপরীতে তারা ম্যাচ হেরেছে মাত্র একটি। ঘরোয়া লিগে এগারোর চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোরিয়ান ক্লাবটিতে নেই কোনো বিদেশি খেলোয়াড়।

এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ বাংলাদেশের ফুটবলে খুব অপরিচিত প্রতিপক্ষ নয়। এই দলটির বিপক্ষে অতীতে জয়ের রেকর্ড আছে। ১৯৮৮ সালে সে সময়ের এশিয়ান ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল পর্বে এই এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মালয়েশিয়ার পাহাংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ম্যাচটি। মোহামেডানই ১৯৯০ এশিয়ান ক্লাব কাপের চূড়ান্তপর্বে গোলশূন্য ড্র করেছিল উত্তর কোরীয় ক্লাবটির সঙ্গে। ১৯৯১ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্তপর্বে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ তৃতীয় হয়েছিল।