৬৭ রানে অলআউট ইংল্যান্ড!

জশ হ্যাজেলউড
জশ হ্যাজেলউড
অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে হেডিংলিতে কাল অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে ১৭৯ রানে অলআউট করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাবে দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে ইংল্যান্ড গিয়েছিল ৬ উইকেটে ৫৪ রান তুলে। এর সঙ্গে ১৩ রান যোগ হতেই চা বিরতির পর নেই বাকি ৪ উইকেট। ১১২ রানের লিড পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজলউড নিয়েছেন ৫ উইকেট

জফরা নেই, জশ আছেন! এবার আরেক ‘জ’-এর জ্বালা ইংল্যান্ডকে ফিরিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। ১৭৯ রানে অলআউট হয়েও ১১২ রানের লিড পেল সফরকারীরা। ইংল্যান্ড মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হেডিংলি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চটা বড় অস্বস্তিতে সারল। লাঞ্চ বিরতির পর চার ওভারে নেই শেষ চার উইকেট! জফরা আর্চারের ৬ উইকেটের জবাব জশ হ্যাজেলউড দিলেন ৩০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে।

পেসারদের দাপটের এই ম্যাচে ইংলিশদের আসল সর্বনাশ করেছেন হ্যাজেলউড। হ্যাজেলউডই প্রথম জোড়া ধাক্কায় ফিরিয়েছেন জেসন রয় ও জো রুটকে। মাঝখানে প্যাট কামিন্স ফেরালেন ররি বার্নসকে। এরপর প্যাটিনসনের জোড়া আঘাতে ফিরলেন বেন স্টোকস ও জো ডেনলি। ৫ উইকেট নেই, রান মোটে ৪৫! স্কোর ওখানে আটকে থাকতেই হ্যাজেলউডের তৃতীয় শিকার জনি বেয়ারস্টো।

সেই ৪৫-এর সঙ্গে আরও ৯ রান যোগ করে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তখনই তারা জানত, ওকস-বাটলারের জুটিটাই ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ সুযোগ। এখান থেকে ইংল্যান্ড ঘুরে না দাঁড়ালে, কে জানে, হয়তো অ্যাশেজের ফলটাই নির্ধারিত হয়ে যাবে। অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে আছে এজবাস্টন টেস্ট জিতে। লর্ডস টেস্ট ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এখানে জয় মানে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ হারবে না, তা নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। বরং শেষ দুই টেস্টের একটিতে ড্র করলেই অ্যাশেজ তাদের! এই জুটিটা ভেঙে গেলেই বের হয়ে আসবে ব্যাটিং লাইনআপের লেজ।

চনমনে রোদও উঠল লিডসে। কিন্তু অস্ট্রেলীয় পেসারদের সামনে ইংলিশদের কাঁপাকাঁপি বাড়ল বৈ কমল না। লাঞ্চের পর প্রথম বলেই ক্রিস ওকস ফিরলেন। পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরলেন বাটলার। এর পরের ওভারে আর্চার, তার পরের ওভারে জ্যাক লিচ। টানা চার ওভারে খেল খতম!

এই টেস্ট পেসারদের টেস্ট। ২০ উইকেটের সবগুলো পেসারদের। কাল জফরা আর্চার একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। জফরার জবাব হয়ে এলেন জশ। কামিন্সের ৩ আর প্যাটিনসনের উইকেট ২টি। জো ডেনলি (১২) ছাড়া ইংলিশদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেনি নিজের রান।

অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমেও পড়েছে। আর্চারের প্রথম বলটা ছিল ঝুলে থাকা হ্যাটট্রিকের সুযোগ। তা হয়নি। কিন্তু প্রথম ইনিংসের জাদুদটার পুনরাবৃত্তি এই ফাস্ট বোলার করতে না পারলে ইংল্যান্ডের সামনে ঘোর বিপদ।