বাংলাদেশের 'টেস্ট বিশেষজ্ঞে'র চোখে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মুমিনুল-তাইজুলের জন্য বড় সুযোগ, বড় চ্যালেঞ্জও। ছবি: শামসুল হক
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মুমিনুল-তাইজুলের জন্য বড় সুযোগ, বড় চ্যালেঞ্জও। ছবি: শামসুল হক
>টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে মুমিনুল-তাইজুলের তুলনামূলক বেশি আগ্রহ থাকার কথা। দুজনই যে সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলে নিয়মিত মুখ

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। কদিনের ব্যবধানে টেস্টের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নেমে গেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই রেসে নামতে বাংলাদেশের আরেকটু সময় লাগবে। যদিও তার আগেই একটা টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তবে দেশের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট তো আর চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে দুই নিয়মিত মুখ মুমিনুল হক আর তাইজুল ইসলাম। রঙিন পোশাকে বাংলাদেশ দলে উপেক্ষিত থাকলেও বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে দুজনই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাংলাদেশ টেস্টে ফিরলে তাঁরাও ফেরেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। দলের অন্য ক্রিকেটারদের তুলনায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে মুমিনুল-তাইজুলের আগ্রহটা তুলনামূলক তাই বেশি থাকার কথা। টেস্টের এ প্রতিযোগিতা নিয়ে তাঁদের বেশি ভাবার কথা। দুজন তা ভাবছেনও।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে ‘টেস্ট বিশেষজ্ঞ’ তকমা লেগে যাওয়া মুমিনুলের ভাবনাটা হচ্ছে, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হওয়ায় আমাদের ভালো হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে খুব খুশি। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের ওভাবে মনোযোগ দেওয়া হয় না। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হওয়ায় এখন আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে।’

তবে তাইজুলের ভাবনাটা ভিন্ন। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে সব দলই ভীষণ গুরুত্ব দেবে। কিন্তু সব দল যে নির্ধারিত সময়ে সমানসংখ্যক টেস্ট খেলবে না। বাংলাদেশ ২০১৯ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবে ১৪ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড কিংবা ভারত খেলবে এর দ্বিগুণের বেশি সংখ্যক টেস্ট। যদিও সিরিজের পয়েন্টের হিসাবটা সবারই সমান। ২ টেস্টের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলে যে পয়েন্ট, ৫-০ ব্যবধানে জিতলেও সেই একই পয়েন্ট পাওয়া যাবে।

পয়েন্টের হিসাবে একমত হলেও তাইজুল মনে করেন সব দলেরই সমান সংখ্যক টেস্ট খেলার সুযোগ করে দিলে আরও ভালো হতো, ‘আমরা অন্যদের তুলনায় কম টেস্টই খেলি। পয়েন্ট তালিকায় থাকা সেরা দুই দল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে। কিন্তু এখানে সব দল তো সমান ম্যাচ খেলছে না। কারও ১২টা, কারও ১৮টা। আমার কাছে মনে হয় ২ বছরে সবারই ১৫ কিংবা ২০টি করে টেস্ট থাকত তাহলে আমাদের জন্য আরও ভালো হতো।’