অন্তিম সময়ে ইউনাইটেডের 'দুর্গ' জিতল প্যালেস

গোলের সুযোগ নষ্ট করে হতাশ ইউনাইটেডের ড্যানিয়েল জেমস। পেনাল্টির সুযোগও নষ্ট করেছে স্বাগতিকেরা। ছবি: এএফপি
গোলের সুযোগ নষ্ট করে হতাশ ইউনাইটেডের ড্যানিয়েল জেমস। পেনাল্টির সুযোগও নষ্ট করেছে স্বাগতিকেরা। ছবি: এএফপি
>ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

অবিশ্বাস্য? তা বলাই যায়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আগের সেসব দিন আপাতত আর নেই। তবু ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ড তাদের দুর্গই। ওখানে গিয়ে জেতা বড় দলগুলোর জন্যও অনেক কঠিন। ক্রিস্টাল প্যালেস তো সে তুলনায় পুঁচকে দল। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মানেই ভরপুর চমক। ওল্ড ট্রাফোর্ডে আজ তেমন চমকই দেখা গেল। ইউনাইটেডকে তাদের ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্রিস্টাল! গত তিন দশকের মধ্যে ওল্ড ট্রাফোর্ডে এটাই প্রথম জয় দলটির।

স্বাগতিকেরা যেভাবে হেরেছে সেটাও অবিশ্বাস্য। ক্রিস্টাল ফরোয়ার্ড জর্ডান আইয়ু ৩২ মিনিটে গোল করেছেন ম্যাচের ধারার বিপরীতে। প্রথমার্ধে বেশ ভালো ফুটবলই খেলেছে ওলে গানার সুলশারের দল। কিন্তু এ গোল শোধ করতে ইউনাইটেডকে অপেক্ষা করতে হয়েছে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার এক মিনিট আগ পর্যন্ত। মার্কাস রাশফোর্ড ও অ্যান্থনি মার্শিয়াল আক্রমণটা তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাঁকানো শটে ৮৯ মিনিটে ইউনাইটেডকে সমতাসূচক গোলটি এনে দেন উইঙ্গার ড্যানিয়েল জেমস। ইউনাইটেড সমর্থকেরা তখন নিশ্চয়ই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন? যাক, অন্তত ১ পয়েন্ট তো নিশ্চিত হলো!

ভুল। নাটকের শেষ অঙ্ক তখনো বাকি। যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে ওল্ড ট্রাফোর্ডকে স্তব্ধ করে ক্রিস্টালের জয়সূচক গোলটি করেন প্যাট্রিক ফন আনহোল্ট। তাঁর এ গোলে ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডে গেয়ার ভুলও চোখে বিঁধবে দলটির সমর্থকদের। ডান প্রান্তে ঝাঁপিয়ে পড়লেও আনহোল্টের বাঁ পায়ের শট ঠিকমতো ঠেকাতে পারেননি এ স্প্যানিশ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে তাদের-ই বিপক্ষে যোগ করা সময়ে গোল করা প্রথম খেলোয়াড় এই ডাচ উইঙ্গার। আর হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে মিলিয়ে লিগে দ্বিতীয়—২০০৭ সালে আর্সেনালের থিয়েরি অঁরির পর। আনহোল্টের গোলে দারুণ এক জয়ের দেখাও পেল ক্রিস্টাল। সবশেষ ১৯৮৯ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে জয়ের মুখ দেখেছিল দলটি।

অথচ রাশফোর্ড পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলে ইউনাইটেড এ ম্যাচ থেকে অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারত। ৬৯ মিনিটে ক্রিস্টালের স্কট ম্যাকটমিনে নিজেদের বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু রাশফোর্ড স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। গোলপোস্ট কাঁপিয়ে লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয় তাঁর শট।