ইতিহাস গড়ার পথে লড়াই ইংল্যান্ডের

জো রুট পথ দেখাচ্ছেন ইংল্যান্ডকে। ছবি: এএফপি
জো রুট পথ দেখাচ্ছেন ইংল্যান্ডকে। ছবি: এএফপি
>লিডস টেস্টে জয়ের জন্য ৩৫৯ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। রুট-ডেনলির ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে স্বাগতিকেরা

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে অলআউট হওয়ার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, ভস্মাধারটা অস্ট্রেলিয়ার কাছেই থাকছে। যদিও এখনো সিরিজের দুই ম্যাচ বাকি। ইংল্যান্ড লিডস টেস্টে হারলেও সিরিজে ২-২ সমতা আনা সম্ভব। তবে আগের অ্যাশেজ ৪-০ ব্যবধানে জিতে নেওয়ায় ভষ্মাধারটা অস্ট্রেলিয়ার কাছেই থাকবে। এটুকু পড়ে জেগে ওঠা বিস্ময় মিইয়ে আসে লিডস টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে ৩৫৯ রানের লক্ষ্য দেওয়ায়। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভীষণ বাজে ব্যাট করা ইংল্যান্ড এ লক্ষ্য টপকাতে পারবে না, সেটাই তো স্বাভাবিক?

তবে ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। ইংল্যান্ড আজ লিডস টেস্টের তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন অনিশ্চয়তার ইঙ্গিতই দিচ্ছে। চতুর্থ ইনিংসে এত রান তাড়া করে কখনো জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৩২ রান তাড়া করে জিতেছে ইংল্যান্ড, সেটি ১৯২৮ সালে মেলবোর্নে এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময় হারের চোখ রাঙানি দেখা ইংল্যান্ডকে এ পরিসংখ্যান মনে করিয়ে দেওয়ার কারণ, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ‘অসম্ভব’ লক্ষ্যের পেছনে ছোটা ইংল্যান্ড আপাতত রোমাঞ্চের ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টেস্টের চতুর্থ ও নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪০। জয়ের জন্য আরও ২১৯ রান চাই স্বাগতিকদের। লক্ষ্যটা অনেক কঠিন। তবে হাতে দুই দিনের বেশি সময় আর ৮ উইকেট থাকায় জয়টা একদম অসম্ভব কিছুও না!

আজ তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৬ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এতে ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্যটা চলে যায় সাড়ে তিন শর ওপাশে। সপ্তম ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার জেসন রয় ও ররি বার্নস আউট হওয়ার পর হাল ধরেছেন অধিনায়ক জো রুট ও জো ডেনলি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২৫ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। তবে টেস্টের ইতিহাস কিন্তু ইংল্যান্ডের নতুন ইতিহাস গড়ার বেশ বিপক্ষে। প্রথম ইনিংসে ৭০-এর কম রানে অলআউট হয়ে কোনো দলের টেস্ট জয়ের সবশেষ নজিরও এক শতাব্দীর বেশি সময় আগের ঘটনা। সঠিক হিসাব অনুযায়ী ১৩১ বছর আগে। ১৮৮৮ সালে লর্ডসে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৬০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।