আজীবন ফ্রি চশমা লিচের জন্য

এভাবেই বারবার একেক বল খেলার আগে নিজের চশমা মুখে নিচ্ছিলেন লিচ। ছবি : টুইটার
এভাবেই বারবার একেক বল খেলার আগে নিজের চশমা মুখে নিচ্ছিলেন লিচ। ছবি : টুইটার
>

একেকটা করে বল ধেয়ে আসছে, আর পড়িমরি করে বল ঠেকিয়ে নিজের ‘জীবন’ আর ইংল্যান্ডের আশা দুই-ই বাঁচিয়ে রাখছিলেন জ্যাক লিচ। একেক বল মোকাবিলা করার আগে রুমাল দিয়ে চশমাটা মুছে নিচ্ছিলেন তিনি, শেষ উইকেটে লিচের যে বেঁচে থাকাই লাগত! না হয় বেন স্টোকসের মহাকাব্যিক ইনিংসটা পূর্ণতা পেত না। ম্যাচ শেষে লিচকে তাই বাকি জীবনের জন্য ফ্রি চশমা সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছে ইংল্যান্ডের চশমা কোম্পানি স্পেকসেভারস।

গতকাল ইংল্যান্ডের মহাকাব্যিক জয়ের নায়ক যদি বেন স্টোকস হন, পার্শ্বনায়ক অবশ্যই জ্যাক লিচ। শেষ উইকেটে লিচ ওভাবে স্টোকসকে সঙ্গ না দিলে ইংল্যান্ড তো বহু আগেই হেরে যায়। সেটা হতে দেননি লিচ। ১৭ বলে করেছেন ১; কিন্তু তাঁর ইনিংসটা সময়ের হিসাবে একটি সেঞ্চুরির চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান। আর মহামূল্যবান এই ইনিংস খেলার পথে নজরে পড়েছে লিচের দৃঢ় প্রত্যয়। প্রায় প্রতিটি বল মোকাবিলা করার আগে একবার করে চশমাটা মুছে নিচ্ছিলেন তিনি। যাতে প্যাট কামিন্সের নব্বই মাইল বেগে ধেয়ে আসা বলগুলো দেখেশুনে খেলতে পারেন! ম্যাচ শেষে লিচের এই অবদান ভুলে যায়নি ইংল্যান্ডের চশমা কোম্পানি স্পেকসেভারস। বাকি জীবন লিচকে ফ্রি চশমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা!

ম্যাচ শেষে নায়ক স্টোকস তাঁর যোগ্য সহকারীর কথা ভোলেননি মোটেও। একটা টুইটে স্পেকসেভারসকে মেনশান করে বলেছেন, ‘স্পেকসেভারস, অন্তত এই কাজটা করুর, বাকি জীবনের জন্য জ্যাক লিচকে ফ্রি চশমা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন!’ টুইটটার জবাব দিতে দেরি করেনি স্পেকসেভারস। তারাও লিখেছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, বাকি জীবনের জন্য জ্যাক লিচকে ফ্রি চশমা বিলিয়ে যাব আমরা!’

স্টোকসের পাশাপাশি লিচকে নিয়েই মেতেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বিবিসি স্পোর্টসের সাংবাদিক ড্যান ওয়াকার লিখেছেন, ‘কেউ লিচের চশমাটা ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রাখার ব্যবস্থা করো!’

আরেক সাংবাদিক টম ভিক্টরেরও একই মতামত। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন লিখেছেন, ‘এটাই ইতিহাসের সেরা এক রান!’ ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন তো লিচকে নিজের নায়কই বানিয়ে ফেললেন, ‘জ্যাক লিচ, আমার নায়ক!’

সাংবাদিক অলিভার হারবোর্ড জানিয়েছেন, ‘আগামী ১০ বছর স্পেকসেভারসের প্রত্যেকটা বিজ্ঞাপনচিত্রে যদি জ্যাক লিচকে দেখা না যায়, তাহলে এই পৃথিবীতে বিচার বলে কিছু নেই!’