উত্তর কোরিয়ায় যেন জেলে বন্দী ছিল আবাহনী

‘জেলবন্দী’ থেকে পিয়ংইয়ংয়ে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে আবাহনীকে। ছবি: বাফুফে
‘জেলবন্দী’ থেকে পিয়ংইয়ংয়ে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে আবাহনীকে। ছবি: বাফুফে
>উত্তর কোরিয়া সফরকে হাজতবাস বলেছেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস। বেইজিংয়ে এক দিন থাকার পর আগামীকাল শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা আবাহনীর।

উত্তর কোরিয়া থেকে আজ চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন আবাহনী লিমিটেডের খেলোয়াড়েরা। ‘বন্দী’ জীবন থেকে বের হয়ে তাঁরা নতুন করে পেয়েছেন স্বাভাবিক জীবনের স্বাদ। সমাজতান্ত্রিক দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে একপ্রকার যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থাতেই ছিল আকাশি-নীল দলটি। ইন্টারনেটহীন দেশটিতে আবাহনীর খেলোয়াড়েরা কেমন ছিলেন, কী করছেন—বাংলাদেশে বসে এসব জানার উপায়ও ছিল না। এমনকি গতকাল এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে ম্যাচটির কোনো সরাসরি আপডেটও পাওয়া যায়নি। পর্তুগিজ কোচ মারিও লামোস বলছেন, উত্তর কোরিয়ায় রীতিমতো ‘জেলজীবন’ই কাটাতে হয়েছে আবাহনীর খেলোয়াড়দের।

বেইজিংয়ে বসে প্রথম আলোকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন লামোস, ‘আমরা যেন জেলখানায় ছিলাম। হোটেল থেকে বের হতে পারতাম না। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আজ বেইজিং পৌঁছানোর পর স্বস্তি পাচ্ছি।’

ঢাকার মাঠে প্রথম ম্যাচে ৪-৩ গোলে জয় পাওয়ায় পিয়ংইয়ংয়ে ন্যূনতম ড্র করলেই ফাইনালে খেলত আবাহনী। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল হজম করতে হয় তাদের। এক গোল হজমের পর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় মামুন মিয়াকে। ম্যাচে আবাহনী বাজে রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে বলেও দাবি আবাহনী কোচের, ‘মামুন মিয়াকে প্রথম হলুদ কার্ডটা কেন দেখানো হলো, আমাদের কারও জানা নেই। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড নিয়েও কিছুটা আপত্তি আছে আমার। আর এক গোল হজম করার পর একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে এই ধরনের ম্যাচে ফেরা সম্ভব নয়।’