সাকিবের চোখে এই কোচরাই সেরা

অনুশীলনে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে আলাপ সেরে নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: প্রথম আলো
অনুশীলনে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে আলাপ সেরে নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: প্রথম আলো

রাসেল ডমিঙ্গোকে দারুণ পছন্দ হয়েছে সাকিব আল হাসানের। আর কখনো পেশাদার ক্রিকেট না খেলা এই দক্ষিণ আফ্রিকানকেই যদি তাঁর এত পছন্দ হবে, বাকীদের কতটা পছন্দ হয়েছে, তা কি বলে দিতে হবে!

বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব কিন্তু বলেই দিলেন। তাঁর চোখে ডমিঙ্গোর নেতৃত্বে এই কোচিং স্টাফই বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সেরা। আজ দুপুরে বনানীতে নিজের বাসায় বসে প্রথম আলোকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাকিব। তারই একপর্যায়ে বলেছেন, ‘এখন আমাদের যে কোচিং স্টাফ, তারা খুবই ভালো। অভিজ্ঞ, রেকর্ড ভালো এ রকম সব কোচ এনেছে ক্রিকেট বোর্ড। এ রকম আমরা আগে পাইনি। ডেভ হোয়াটমোর বিশ্বকাপ জেতা কোচ ছিলেন। এরপর এই প্রথম এত ভালো কোচ এল।’

২২ বছর বয়সে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা ডমিঙ্গো কোচ হিসেবে অভিজ্ঞ হলেও তাঁর খেলোয়াড়ি জীবন অতটা সমৃদ্ধ নয়। তবে ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট। স্পিন পরামর্শক হিসেবে আসবেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরিও। আর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক তো আগে থেকেই আছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই বেশির ভাগ কোচ আনাটা ভালো হলো না খারাপ হলো, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নন সাকিব, ‘এটা নেতিবাচক বা ইতিবাচক দুই রকমই হতে পারে। এক দেশের হওয়াতে তারা সবাই মিলে একটা দল হয়ে কাজ করবেন এটা যেমন হতে পারে, আবার ভিন্ন ভিন্ন দেশের হলে হয়তো ভিন্ন ভিন্ন মত জানা যেত। তবে আমার বিশ্বাস, বিসিবি এটা আমাদের ভালোর জন্যই করেছে।’

ডমিঙ্গোর সঙ্গে এই কয়দিন কাজ করে তাঁকে ভালো কোচ বলেই মনে হচ্ছে সাকিবের। তবে আগের কোচ স্টিভ রোডসও তাঁর চোখে খারাপ কোচ ছিলেন না। এই ইংলিশ কোচকে বিসিবি বিশ্বকাপের পর পরই বিদায় করে দিলেও সাকিব বলেছেন, ‘রোডসের মধ্যে আমি কোনো সমস্যা দেখিনি। তবে হ্যাঁ, আমি যেমন বলবো না ওনার মধ্যে সমস্যা ছিল, আবার এটাও বলব না যে উনিই আমাদের জন্য ঠিক ছিলেন। বিশ্বকাপের পর বিসিবি মনে করতেই পারে যে রোডস আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সঙ্গে যান না। বোর্ডও চায় আমরা ভালো করি।’

ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসের কাছে টেস্টের দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডারের জায়গা হারিয়েছেন সাকিব। তবে এটাকে তিনি ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন, ‘এটা তো ভালো। এসব জায়গা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়া উচিত। আগে যখন এক নম্বর হয়েছি, তখন আমার নিচের নামগুলো দেখে ভালো লাগত। রাজ্জাক, জয়াসুরিয়ারা থাকতেন তখন। এখন যারা থাকে, তাদের দেখে অতটা চ্যালেঞ্জ অনুভব করি না। আর স্টোকস যেরকম খেলছে, ও জায়গাটা দাবি করতেই পারে।’

* বিস্তারিত সাক্ষাৎকারটি পড়ুন কাল ছাপা সংস্করণে।