শেষ ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডকে জয়ের পথ দেখান ডি গ্র্যান্ডহোম। ছবি: এএফপি
নিউজিল্যান্ডকে জয়ের পথ দেখান ডি গ্র্যান্ডহোম। ছবি: এএফপি

৬ বলে ৭ রান দরকার নিউজিল্যান্ডের। উইকেট আছে এখনো ৬টি। সহজ সমীকরণ। অথচ এই সহজ সমীকরণই কঠিন হয়ে গেল হাসারাঙ্গা ডি সিলভার শেষ ওভারের শুরুতেই জোড়া আঘাতে! আসলে ঠিক কঠিন বললে ভুল হবে। বরং লঙ্কানদের মনেই স্বপ্ন জেগে উঠেছিল বলাটাই ঠিক হবে। তবে লঙ্কানদের হঠাৎ জেগে ওঠা স্বপ্নের চর ডুবিয়ে দেন মিচেল স্যান্টনার। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে কিউইদের মনে যখন পরাজয়ের শঙ্কা, তখনই পরপর দুই বলে ছক্কা-চার হাঁকিয়ে সব শঙ্কা দূর করেন স্যান্টনার। দুই বল খরচ না করেই ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে অতিথিরা। এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে টিম সাউদি-স্যান্টনাররা।

পাল্লাকেলেতে টস জিতেছে লঙ্কানরা। আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ১৬২ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ডকে। কুসাল মেন্ডিস শুরুটা ভালো করলেও ম্যাচ বড় করে আসতে পারেননি। ৩৬ রানে এই লঙ্কান ওপেনার সাজঘরে ফিরলে স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৪ রান যোগ করে একই পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার কুসাল পেরেরাও। এরপর আভিশকা ফার্নান্দে (৩৭ রান) ও নিরোশাল ডিকভেলার (৩৯ রান) ব্যাটে চড়ে কিউইদের ১৬২ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধনাঞ্জয়ার ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে যান নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। দলের ৩৮ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটেও চলে যায় তারা। তবে নিউজিল্যান্ডকে পথ দেখান ডি গ্র্যান্ডহোম। উডানার বলে ফার্নান্দেকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪৬ বলে ২ চার আর ৩ ছয়ে ৫৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। আর শেষ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হওয়া ব্রুসও গ্র্যান্ডহোমকে সঙ্গ দেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৬ বল খেলে করেন ৫৩ রান। নিউজিল্যান্ডের আর কোনো ব্যাটসম্যানই বলার মতো রান করতে পারেননি।

৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করা নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি হন ম্যাচসেরা।