কাদিরকে খুব মনে পড়ছে টেন্ডুলকারের

১৯৮৯ সালে নিজের অভিষেক সফরে পেশোয়ারে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। সদ্য প্রয়াত লেগ স্পিন কিংবদন্তি আবদুল কাদিরকে সে ম্যাচে চারটি ছক্কা মেরে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার’।
১৯৮৯ সালে নিজের অভিষেক সফরে পেশোয়ারে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। সদ্য প্রয়াত লেগ স্পিন কিংবদন্তি আবদুল কাদিরকে সে ম্যাচে চারটি ছক্কা মেরে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার’।
>

১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে গিয়েছিলেন ১৬ বছর বয়সী শচীন টেন্ডুলকার। সে সফরে পেশোয়ারে একটা প্রদর্শনী ম্যাচে সদ্য প্রয়াত লেগ স্পিন–কিংবদন্তি আবদুল কাদিরের মুখোমুখি হয়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার’। কী হয়েছিল সে ম্যাচে?

তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬। সে বয়সেই ভারতীয় দলে ঢুকে পড়লেন তিনি। তাঁকে দলের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হলো পাকিস্তান সফরে। সেখানে বাঘা বাঘা বোলারের মুখোমুখি হতে হলো তাঁকে। সে সফরেই শচীন টেন্ডুলকার নিজেকে চেনালেন। ৩০ বছর আগের সেই সফরেই সদ্য প্রয়াত লেগ স্পিন-কিংবদন্তি আবদুল কাদিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ ‘লিটল মাস্টারে’র। কাদিরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করতে গিয়ে সেই সাক্ষাতের কথা খুব করেই মনে হলো টেন্ডুলকার।

পেশোয়ারে সেদিন হঠাৎ করেই নির্ধারিত ওয়ানডে ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল এক প্রদর্শনী ম্যাচে। কারণ, আলোকস্বল্পতা। মাঠে আসা দর্শকদের কিছুটা আনন্দ দিতেই ২০ ওভারের সেই প্রদর্শনী ক্রিকেটের আয়োজন। টেন্ডুলকার যখন মাঠে নামেন ব্যাট হাতে, তখন ভারতের জয়ের জন্য ৫ ওভারে ৬৯ রান প্রয়োজন। পাকিস্তান দলে সদ্য অভিষিক্ত আরেক লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদকে পরপর দুটি ছক্কা মারেন টেন্ডুলকার। সে সময় কাদির নাকি ভারতের ব্যাটিং-কিংবদন্তিকে তাতিয়ে দিয়েছিলেন কিছু কথা বলে।


কী বলেছিলেন কাদির? টেন্ডুলকার নিজেই বলেছেন সে মুহূর্তের কথা, ‘মুশতাককে মারার পর কাদির আমার সামনে এসে বললেন, “বাচ্চাকে কেন মারছ? পারলে আমাকে মেরে দেখাও!” কাদির অসাধারণ একজন বোলার ছিলেন, আর আমিও আমার জীবনের প্রথম সিরিজ খেলতে গিয়েছিলাম। ওই কথার পর কিছু না বলে মুচকি হেসেছিলাম। তবে ভেতরে-ভেতরে ঠিকই তেতে গিয়েছিলাম।’ পরের ওভারেই কাদিরকে চার–ছক্কা মেরেছিলেন টেন্ডুলকার, সব মিলিয়ে ২৮ রান তুলেছিলেন।

কাদির পরে এক সাক্ষাৎকারে সেদিনের স্মৃতিচারণা করেছিলেন নিজের মতো করে, ‘প্রথম বলেই একটা ছক্কা মারল আমাকে, লং অফের ওপর দিয়ে। পরের বলে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়েছিল। কিন্তু ক্যাচ ফেলেছিল আমার এক সতীর্থ। পরে ওই ওভারে আরও তিনটি ছক্কা মারে ও আমাকে। ও এতটাই প্রতিভাবান ছিল যে পুরো ওভারে আমাকে আউট করার একটা সুযোগও দেয়নি।’


শুক্রবার কাদির হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬৩ বছর বয়সে। টেন্ডুলকার টুইটারে এই কিংবদন্তি লেগ স্পিনারের মৃত্যুতে জানিয়েছেন শোক, ‘আবদুল কাদিরের বিপক্ষে খেলার কথা মনে আছে। নিজের সময়ের সেরা লেগ স্পিনার ছিলেন তিনি।’