২০ বছর খেলার পর শিখছি বলা যায় না

দলের অন্য সবার মতো সাকিবের আউটও ছিল হতাশাজনক। ছবি: শামসুল হক
দলের অন্য সবার মতো সাকিবের আউটও ছিল হতাশাজনক। ছবি: শামসুল হক

বৃষ্টি অনেক চেষ্টা করেছে। যখনই মনে হয়েছে খেলা সম্ভব, তখনই আবার নেমে খেলা পিছিয়ে দিয়েছে। প্রকৃতি চেষ্টার কমতি রাখেনি এ টেস্টে বাংলাদেশকে রক্ষা করার। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে সে কথা বলা কঠিন। শেষ দিনে বৃষ্টির সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও ২১ ওভারের মতো খেলার সুযোগ হয়েছে। ১৭.২ ওভার খেলতেই চার ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেছেন।

ম্যাচ শেষে পরাজিত অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানকে এ পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে হলো। সে ব্যাখ্যায় ব্যাটসম্যানদেরই দায় দেখছেন সাকিব। আফগান বোলারদের পর্যাপ্ত কৃতিত্ব দিয়েই নিজেদের দায় স্বীকার করেছেন সাকিব, ‘আমার মনে হয়, এটা দুটি কারণে হয়েছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছে এবং আফগানদের বোলিং। একটা ভালো দল হয়ে উঠতে গেলে আমাদের অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ২০ বছর ধরে খেলার পর আমরা বলতে পারি না যে আমরা শিখছি।’

ব্যাটসম্যানদের দায় দেওয়া মানে সেটা নিজের কাঁধেও নেওয়া। আজ সাকিব যেভাবে আউট হয়েছেন তাতে দায় না নেওয়াটা অন্যায়। ৪ উইকেটে ১৯ ওভার কাটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলেন। সেখানে নেমে প্রথম বলেই জহীর খানের অনেক বাইরের এক বলে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হয়েছেন সাকিব। অত বাইরের একটি বলে শুরুতেই সাকিবের অমন শট পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়েও প্রভাব রেখেছে। একমাত্র তাইজুল দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছেন।

সাকিব ব্যাটসম্যানদের এমন পারফরম্যান্সের একটি কারণ খুঁজে পাচ্ছেন, তবে সেটাকে অজুহাত মানছেন না, ‘আমরা বেশ অনেক দিন পর (মার্চের পর) টেস্ট খেললাম তবে আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমাদের এখন যত দ্রুত সম্ভব এ ম্যাচ ভুলে যেতে হবে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে মনোযোগ দিতে হবে। এ সংস্করণে আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তাই আমাদের টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগ দিতে হবে।’

বাংলাদেশের মতোই মার্চে সর্বশেষ টেস্ট খেলা আফগানিস্তান এ ফরম্যাটেই দাপুটে জয় পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী না হওয়াই ভালো!