পেনাল্টি বঞ্চিত বাংলাদেশ, আইন কি বলে?

গতকাল দুশানবেতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে বল দখলের লড়াই। ছবি: বাফুফে
গতকাল দুশানবেতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে বল দখলের লড়াই। ছবি: বাফুফে
>

গতকাল আফগানিস্তানের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ পেনাল্টি বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে করেন ফিফা রেফারিদের টেকনিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর আজাদ রহমান।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করল বাংলাদেশ। দুশানবের মাঠে আফগানদের কাছে ১-০ স্কোরলাইনটা ঠিক ম্যাচের পুরো চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। শারীরিক সক্ষমতা, ব্যক্তিগত স্কিল, বল নিয়ন্ত্রণ, পাসিং, প্রেসিং সবকিছুতেই আফগানদের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত বাংলাদেশ। কিন্তু এই ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত। ভাগ্য সহায় থাকলে ম্যাচটা ড্র করেও মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ।
ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে বাংলাদেশ একটি পেনাল্টি পেলেও পেতে পারত। যোগ করা সময়ে স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনকে নিজেদের গোলমুখে পেছন থেকে ট্যাকল করেন আফগানিস্তানের একজন ডিফেন্ডার। এ নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক এখন তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাদেশকে। ফিফা রেফারিদের টেকনিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর আজাদ রহমান বলেছেন, আইন অনুযায়ী ওটা পেনাল্টি ছিল।
জীবনকে কেবল পেছন থেকেই ট্যাকল করা হয়নি, ইয়াসিন খানের কাছ থেকে বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগান ডিফেন্ডার জীবনের গোড়ালিতে পাড়া দেন। টেলিভিশন রিপ্লেতেও এটি পরিষ্কার দেখা গেছে। মাঠে সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু চীনের রেফারি জেং লেই পাত্তাই দেননি।

এটা পেনাল্টি ছিল বলে মনে করেন আজাদ রহমান। তবে ফাউলটি রেফারির অগোচরে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী এটা ফাউল না হলে খেলোয়াড়ের পড়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। এটা ট্যাক্টিক্যাল ফাউল। যা অগোচরে করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রেফারিদের সব সময় সচেতন থাকতে হয়। প্রধান রেফারি না পারলে সহকারী রেফারির এটা দেখা উচিত ছিল। ওই জায়গায় গোলের সুযোগ ছিল। সে কারণেই ওটা পেনাল্টি। নতুন আইনেই আছে পেনাল্টি বক্সে কিছু হলে রেফারিকে অনেক বেশি সচেতন হয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। রেফারি এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে ওটা পেনাল্টি ছিল। অবশ্যই বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছে।’

ফিফায় বাংলাদেশের আরেক রেফারি ইনস্ট্রাক্টর সুজিত ব্যানার্জির মতেও ওটা পেনাল্টি ছিল , ‘গোলমুখে পেছন থেকে ফাউল করলেই পেনাল্টি। আফগান ওই ডিফেন্ডার রীতিমতো লাল কার্ড দেখার মতোও কাজ করেছে। আর যদি ওটা ফাউল-ই না হবে , তাহলে তো শুয়ে অভিনয়ের জন্য জীবনকে হলুদ কার্ড দেখানো উচিত ছিল। ’

তবে পেনাল্টি না পেলেও ম্যাচে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা আড়াল করার কোনো সুযোগ নেই। গোটা ম্যাচে জীবন একটা বলও ঠিকমতো ধরতে পারেননি। ওই মুহূর্তে গোলমুখে প্রথম স্পর্শেই মেরে দেওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের ‘নাম্বার নাইনে’র। কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। পুরো ম্যাচ খেলেও আফগান রক্ষণে একবারও ভীতি সৃষ্টি করতে না পারার ব্যর্থতার দায় জীবন এড়াতে পারেন না।

দেখতে পারেন সেই ট্যাকলটি