জেমি ডে হতাশ আফগানদের সঙ্গে হারে

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জেমি ডে। ছবি: বাফুফে
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জেমি ডে। ছবি: বাফুফে
>বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে বরাবরই আশাবাদী মানুষ। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে তাজিকিস্তান রওনা হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনেও শুনিয়েছিলেন আশার কথা। দুশানবেতে পৌঁছে ফিফা ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও বলেছিলেন, অঘটন ঘটাতে চান তিনি। র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৩ ধাপ এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেমি ডে’র সেই ‘অঘটন’ কী, তা খোলাসা করে না বললেও অনুমান করা যায় জয়ের স্বপ্নই দেখেছিলেন এই ব্রিটিশ!

কাল ম্যাচটা অন্তত ড্র করা গেলেও মন্দ ফল হতো না। কিন্তু বাংলাদেশের বাছাইপর্ব শুরু হলো আফগানদের কাছে ১-০ গোলে হেরে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজের হতাশা লুকাতে পারেননি জেমি, ‘আফগানিস্তান আমাদের চেয়ে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে আমরা ভালো খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকটা সুযোগও তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এটাই সত্য আমরা হেরেছি। এই হারে আমি হতাশ।’

ম্যাচেই দেখা গিয়েছে শুধু ৩৩ ধাপ র‍্যাঙ্কিং নয় খেলোয়াড়দের যোগ্যতার মানদণ্ডেও জামাল ভূঁইয়াদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল ফারশাদ নূররা। ম্যাচের ৬৫ ভাগ বলের দখল ছিল আফগানদের। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট ম্যাচের চেহারা।আফগানরা শারীরিক সক্ষমতা, গতি বা বলের নিয়ন্ত্রণ-সবকিছুতেই নিজেদের সেরা প্রমাণ করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।

গোলরক্ষক আশরাফুল রানা বেশ কয়েকবার দেয়াল না হয়ে দাঁড়ালে পরাজয়ের ব্যবধানটা হতে পারত আরও বড়। উল্টো একটি বারের জন্যও আফগান গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ‘নাম্বার নাইন’ নাবীব নেওয়াজ জীবনের পায়ে বল দেখা গেছে হাতে গোনা কয়েকবার। ম্যাচের শেষ সময়ে গোল করার সহজ সুযোগটিও নষ্ট করেছেন তিনি। যদিও গোলে শট নেওয়ার আগেই পেছন থেকে ট্যাকল করা হয় তাঁকে। অন্য খেলোয়াড়দের মধ্যেও দেখা যায়নি বল দখলে রাখার স্পৃহা। গোটা ম্যাচে টানা তিনটি পাস খেলতে একবারের জন্যও দেখা যায়নি বাংলাদেশ দলকে।

জেমির হতাশার কারণ কেবল হার নয়, নিশ্চিত করেই আরও অনেক কিছু!