বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮০ হাজার দর্শক চান ভারতের কোচ

ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচ। ছবি: এএফপি
ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচ। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। কলকাতার যুব ভারতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর। সেদিন টইটম্বুর গ্যালারি দেখতে চেয়েছেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ


বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের বাকি এক মাসেরও বেশি। কিন্তু ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচের যেন তর সইছে না! স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে ড্র করে টগবগে মেজাজে থাকা স্টিমাচ বাজিয়ে দিয়েছেন প্রতিবেশী দুই দেশের লড়াইয়ের দামামা। সমর্থকদের প্রতি তাঁর বার্তা, কলকাতার সল্ট লেকে বা যুব ভারতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে দেখতে চান ৮০ হাজার দর্শক। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর। 


ভারতের বাছাইপর্বের শুরুটা ভালোই হয়েছে বলা যায়। গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই দল ওমানের ও কাতারের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছে তারা। প্রথম ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ ১০ মিনিটে ২ গোল হজম করে হার মাঠ ছাড়তে হয়। মঙ্গলবার দোহায় বর্তমান এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে দলটি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বাছাইপর্ব শুরু হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলের হার দিয়ে।

১০ অক্টোবর ঘরের মাঠে কাতারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। পাঁচ দিন পরেই সুনীল ছেত্রীদের বিপক্ষে মুখোমুখি হতে হবে জামাল ভূঁইয়াদের। এ ম্যাচ দিয়ে ৩৪ বছর পর কলকাতার মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল (১৯৮৫ সালে শেষবার বাংলাদেশ ফুটবল দল খেলেছিল কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে)। কলকাতার মাঠে অবশ্য বাংলাদেশ শেষবার খেলেছিল ১৯৮৭ সালে, তৃতীয় সাফ গেমসে। সেবার নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ।

কলকাতার মানুষের ফুটবল প্রেম এত দিনে জানা হয়ে গিয়েছে স্টিমাচের। এ কারণে তাঁর প্রত্যাশাও একটু বেশি, ‘আমরা শুনেছি কলকাতার মানুষ খুবই ফুটবলপ্রেমী। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে পুরো গ্যালারিভর্তি দর্শক চাই। কাতারের বিপক্ষে দুর্দান্ত ম্যাচের পর এটা আমরা প্রত্যাশা করি। দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।’ যুব ভারতীয় স্টেডিয়ামে ৮০ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

ম্যাচের দিন কলকাতার যুব ভারতী স্টেডিয়ামে নিশ্চয় দর্শকের ঢল নামবে। তবে স্বাগতিকদের পাশাপাশি সেদিন বাংলাদেশের পক্ষেও গলা ফাটানোর মতো মানুষের অভাব হওয়ার কথা না। গ্যালারিতে বসে খেলাটি দেখার জন্য ইতিমধ্যে অনেক বাংলাদেশি সমর্থকও কলকাতা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।