যেভাবে আঙুলের অংশ হারিয়েছিলেন কামিন্স

দুর্ঘটনার ফলে কামিন্সের মধ্যমা এখন তর্জনীর সমান। ছবি: এএফপি
দুর্ঘটনার ফলে কামিন্সের মধ্যমা এখন তর্জনীর সমান। ছবি: এএফপি

পেস বোলারের জন্য মধ্যমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আউট সুইংয়ের পসরা সাজাতে চাইলে এ আঙুলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হয়। এবার অ্যাশেজে প্যাট কামিন্স আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। চার টেস্টে পাওয়া ২৪ উইকেটের অধিকাংশই পেয়েছেন সুইংয়ের সাহায্যে। এতেই বিস্ময় বাড়ছে আরও, স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট মধ্যমা নিয়েও কামিন্স তাহলে সুইং পাচ্ছেন কীভাবে?

অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ প্রতি ম্যাচেই বদলাচ্ছে। কখনো প্যাটিনসন খেলছেন, কখনোবা সিডল। আবার কখনো মিচেল স্টার্ক। এ নিয়ে অবশ্য কখনো খুব একটা আলোচনা হচ্ছে না। কারণ অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের দায়িত্ব যে এবার কামিন্সের কাঁধে। চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার জয়টাও এসেছে দ্বিতীয় ইনিংসে কামিন্সের দুর্দান্ত শুরুর বদৌলতে। আর জো রুটকে আউট করা বলটা তো চোখে লেগে থাকার কথা গতি ও সুইংয়ের পূজারিদের। এত দুর্দান্ত আউট সুইংটা কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে এক সেন্টিমিটার ছোট মধ্যমা থেকেই বের করেছেন কামিন্স।

কামিন্সের আঙুলের অংশ হারানোর গল্প অবশ্য বেশ পুরোনো। মাত্র তিন বছর বয়সে এক দুর্ঘটনায় আঙুলের অগ্রভাগ হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার। কবজায় হাত থাকা অবস্থায় তাঁর বোন ভুল করে দরজা লাগিয়ে দিয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে মধ্যমার ওপরের অংশ ফেলে দিতে হয়েছিল। ২০১১ সালেই অবশ্য এ নিয়ে কথা বলেছিলেন কামিন্স, ‘আমাকে এটা খুব একটা ঝামেলা দেয় না। কারণ ওটা (মধ্যমা) আমার তর্জনীর সমান।’ নিজের দুর্ঘটনার মধ্যেও রস খুঁজে নিয়েছেন কামিন্স। বোনকে সে দুর্ঘটনার কথা বলে কাঁদিয়ে মজা খুঁজে নেন এ পেসার।

কামিন্সের এ মধ্যমা আঙুলের দৈর্ঘ্য ছোট হওয়াতে আউট সুইং কম পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন সবাই। তবে সাবেক ফাস্ট বোলার ব্রেট লি কিন্তু অন্যরকম কথাই বলছেন। লির ধারণা, মধ্যমা ছোট হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পান কামিন্স। কারণ এতে নাকি আঙুল থেকে বের হওয়ার সময় বলের সুইং পজিশন দারুণ থাকে। আজ ওভালে শুরু হওয়া টেস্টে এরই মাঝে আউট সুইংয়ে এক উইকেট তুলে নিয়ে লিকেই কিন্তু সঠিক প্রমাণ করছেন কামিন্স।