ট্রফিটা রশিদ-মাসাকাদজাকে দিতে চাইবেন না সাকিব

এক বিন্দুতে তিন অধিনায়ক—মাসাকাদজা, সাকিব আর রশিদ। ছবি: শামসুল হক
এক বিন্দুতে তিন অধিনায়ক—মাসাকাদজা, সাকিব আর রশিদ। ছবি: শামসুল হক
>ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করতে বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এলেন সাকিব, রশিদ আর মাসাকাদজা।

সবার আগে সাকিব আল হাসানই এলেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে। রশিদ খান আর হ্যামিল্টন মাসাকাদজার আসতে একটু দেরি হওয়ায় বেশ রসিকতাও করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। একটু পরই তিন অধিনায়ক এক বিন্দুতে মিললেন ‘ও ভাই টি-টোয়েন্টি সিরিজ’এর ট্রফি উন্মোচন করতে।

এক আলোকচিত্রী ভালো ছবি পাওয়ার আশায় আফগানিস্তান অধিনায়ককে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে অনুরোধ করলেন এভাবে, ‘হাত পে ট্রফি লে লো রশিদ!’ প্রতিপক্ষ এক অধিনায়ককে ট্রফি উঁচু করতে বলছেন পরিচিত আলোকচিত্রী, সেটি কি আর ভালো লাগে সাকিবের! বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক চাপা হাসিতে এমন অভিব্যক্তি করলেন, যেন বলতে চাইলেন, ‘হ্যাঁ, ওকেই তো বলবেন উঁচু করে ধরতে; এটা বুঝি আমি আর নিতে পারি না!’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে হেরে এমনিই বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবের হাসিখুশি মুখ দেখে অবশ্য মনে হলো, ধাক্কা খেলেও এখনো ভেঙে পড়েননি। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দল। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান যে আরও শক্তিশালী দল। র‍্যাঙ্কিংয়ে তারা আছে সাতে, বাংলাদেশ দশে। এই সংস্করণে আফগানরা এতটাই শক্তিশালী সরাসরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে তারা, সেখানে বাংলাদেশকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব। ত্রিদেশীয় সিরিজের আরেক দল জিম্বাবুয়ে যে খুব পিছিয়ে সেটিও বলার উপায় নেই। এই সিরিজে বাংলাদেশ যে ‘ফেবারিট’ তকমা নিয়ে খেলতে নামছে না, সেটি না বললেও চলছে।

বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তবু দলকে কিছুতেই পিছিয়ে রাখছেন না, ‘সাদা বলের খেলায় বাংলাদেশ নিজেদের দিনে যেকোনো দলকেই হারাতে পারে। দলে কিছু বিশ্বমানের পারফরমার আছে। দলের অভিজ্ঞতা দেখুন না। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অভিজ্ঞ দল ছিল। খেলোয়াড়দের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। অভিজ্ঞতায় ঘাটতি নেই। যদি নিজেদের সম্ভাবনা অনুযায়ী খেলি, আমাদের হারানো কঠিন।’

গ্রুপ ছবির পর স্পনসরদের অনুরোধে পরে আলাদা আলাদা শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন প্রত্যেক অধিনায়কই। সাকিবের হাতে ট্রফি দেখে সিরিজ পৃষ্ঠপোষকদের একজন বলেই ফেললেন, ‘অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত আপনার হাতেই ট্রফিটা দেখতে চাই।’

সাকিব মুখে কিছু বলেননি। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে ট্রফিটা নিশ্চয় রশিদ বা মাসাকাদজার হাতে দেখতে চাইবেন না সাকিব!