১০০ সোনার ৫১টিই গেল বিকেএসপির কাছে

>জাতীয় সাঁতারে ৫১টি সোনা জয় করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)।
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশীদুল হাসানের হাতে শিরোপা তুলে দিচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান। ছবি: সাঁতার ফেডারেশন
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশীদুল হাসানের হাতে শিরোপা তুলে দিচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান। ছবি: সাঁতার ফেডারেশন

বয়সভিত্তিক সাঁতারে এবারও শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। ১০০ ইভেন্টের ৫১টি সোনাই নিয়েছে বিকেএসপি। সে সঙ্গে ৫৮টি রুপা ও ৩৫টি ব্রোঞ্জও জিতেছে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। গত বয়সভিত্তিক আসরে ৪২ টি সোনা জিতেছিল বিকেএসপি।

এবারের প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জটা বেশি ছিল সাঁতার ফেডারেশনেরই। তিন বছর ধরে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’ কর্মসূচির আওতায় ৪২ জন সাঁতারুকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা। এদেরই অন্যতম ১১-১২ বছর বিভাগের এনি খাতুন জিতেছে এবারের আসরের সেরা সাঁতারুর পুরস্কার। বাংলাদেশ আনসারের এই সাঁতারু সব মিলিয়ে ৭টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে সোনা জিতেছে সব কটিতেই। ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে গড়েছে নতুন জাতীয় রেকর্ড।

ছেলেদের ১১-১২ বছর বিভাগে সেরা সাঁতারুর পুরস্কার জিতেছে মোবারক হোসেন। ৭টি ইভেন্টে সোনা জেতার পাশাপাশি মোবারক নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছে ৪টি ইভেন্টে (১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল, ১০০ মিটার বাটারফ্লাই, ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইল ও ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোক)।

সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন ক্লাবের সাঁতারুদের সঙ্গে লড়াইটা ছিল প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির সাঁতারুদের। তাতে তারা মোটামুটি সফলই। প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি থেকে উঠে এসে আলো কেড়েছেন কিশোরগঞ্জের কিশোর কাজল মিয়া। ১৮-২০ বছর বিভাগে ৮টি সোনা ও ১টি ব্রোঞ্জ জিতেছেন এই কিশোর।

জাতীয় সাঁতার মানেই রেকর্ডের ছড়াছড়ি। ইলেকট্রিক টাইমিংয়ে ৩১টি জাতীয় রেকর্ড ভাগাভাগি করে নিয়েছে ১৮ জন সাঁতারু। অবশ্য সাঁতারুরা যতই রেকর্ড গড়ে সোনা জিতুক, তাদের টাইমিং নিয়ে মোটেও খুশি নন কর্মকর্তারা। এই টাইমিংয়ে আন্তর্জাতিক আসরে পদক জেতা সম্ভব নয় বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।