আফিফ জেতালেন বাংলাদেশকে

>
প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেওয়ার উল্লাস তাইজুলের। ছবি: শামসুল হক
প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেওয়ার উল্লাস তাইজুলের। ছবি: শামসুল হক
জয়ের জন্য ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ 

রানটা খুব বেশি না হলেও চ্যালেঞ্জিং। জিততে হলে ১৮ ওভারে করতে হবে ১৪৫। এ লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৭ রান তুলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুরোনো অভ্যাস ফিরে আসে তৃতীয় ওভার থেকে। শুরু হয় পতনের মিছিল! আফিফের দুর্দান্ত ৫২ রানের ইনিংসে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে বাংলাদেশ। ২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে স্টাম্প ওপেন করে চাতারাকে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন (১৪ বলে ১৯)। এ সুযোগে ইয়র্কারে লিটনকে বোল্ড করেন চাতারা। সৌম্য শুরু থেকেই বেশ অস্থির ছিলেন। তারই খেসারত গুণে আউট হন তিনি। আগের ওভারেই উইকেট পড়েছে, তা ভুলে কাইল জার্ভিসকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন সৌম্য (৭ বলে ৪)।

সবচেয়ে বড় আঘাতটা লেগেছে ওই ওভারের (চতুর্থ) চতুর্থ বলে। জার্ভিসের বাউন্সার সামলাতে না পেরে ক্যাচ দেন মুশফিক (১ বলে ০)। পঞ্চম ওভারে সাকিবকে (৩ বলে ১ রান) তুলে নেন চাতারা। তাঁকে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পঞ্চম উইকেট জুটিতে বিপর্যয় মেরামতের চেষ্টা করছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির। কিন্তু নবম ওভারে প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহকে (১৬ বলে ১৪ রান) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন রায়ান বার্ল। 

পরের ওভারে সাব্বির রহমান ফেরায় এখন হার চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে। মাদজিভার করা ১০ম ওভারের তৃতীয় বলে স্লগ চালিয়ে স্কয়ার লেগ অঞ্চলে তুলে মেরেছিলেন সাব্বির। দৌড়ে এসে অবিশ্বাস্য ক্যাচে সাব্বিরকে (১৫ বলে ১৫ রান) তালুবন্দী করেন বার্ল। এ ম্যাচে বার্লের পারফরম্যান্স মনে রাখার মতো। ব্যাট হাতে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর উইকেট পেয়েছেন, এবার নিলেন চোখ ধাঁধানো এক ক্যাচ। ২৬ বলে ৫২ রান করে আউট হয়েছেন আফিফ।  কিন্তু মোসাদ্দেকের সঙ্গে ৪৭ বলে ৮২ রানের জুটিতেই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে।