সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল রিয়াল

আবারও রিয়ালকে বাঁচিয়েছেন বেনজেমা। ছবি: রয়টার্স
আবারও রিয়ালকে বাঁচিয়েছেন বেনজেমা। ছবি: রয়টার্স

বার্নাব্যুতে জয়ের স্বাদ ভুলেই গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই কবে মে মাসে লিগে জয় পেয়েছিল তারা। নতুন মৌসুমে এসেও নিজেদের মাঠে জয় পায়নি রিয়াল। সে যন্ত্রণা আজ ভুলতে পারল রিয়াল। লেভান্তেকে ৩-২ গোলে হারিয়ে আপাতত লিগ টেবিলের দুইয়ে এসেছে রিয়াল। অন্তত এক ম্যাচের জন্য হলেও বার্সেলোনার ওপরে থাকাও নিশ্চিত হয়েছে জিদানের দলের।

স্কোর লাইন যেমন বলছে ম্যাচটা কি অতটা টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ছিল? ম্যাচের ৭০ মিনিট পর্যন্তও উত্তর হলো। কিন্তু ৯২ মিনিটে থিবো কোর্তোয়ার দুর্দান্ত এক সেভ না হলে আজও জয়ের স্বাদ না পেয়েই মাঠ ছাড়তে হলো রিয়ালকে। প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও হাল না ছাড়া লেভান্তে শেষ দিকে অন্তত একটি পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বস্বই দিয়েছিল।

প্রথমার্ধে এমন কিছুর কথা চিন্তাও করা যায়নি। ম্যাচের শুরু থেকেই বৃষ্টির তোড় ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির দাপট বেড়েছে, সমানুপাতে বেড়েছে রিয়ালের আক্রমণ। বাধ্য হয়ে পরিবর্তিত এক মিডফিল্ড নামাতে বাধ্য হয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। মদরিচ, ভালভার্দের চোটে নামাতে হয়েছিল হামেস রদ্রিগেজকে। সেই রদ্রিগেজই রিয়ালের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। সেরা খেলোয়াড়? বরাবরের মতোই করিম বেনজেমা!

একের পর এক আক্রমণেও গোল করতে পারছিল রিয়াল। ভাসকেজের একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরেও এসেছে। ২৪ মিনিটে দানি কারভাহালের এক ক্রসে গোলমুখ খুলল। বাঁ পায়ের এক মাপা ক্রস থেকে জোরালো এক হেড করেছিলেন বেনজেমা। ৬ মিনিট পরে রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটি এসেছে বেনজেমার পা থেকে। হামেস রদ্রিগেজের বুদ্ধিদীপ্ত এক পাস থেকে ব্যবধান বাড়িয়েছেন গত মৌসুম থেকেই রিয়ালকে টেনে নেওয়া বেনজেমা।

রিয়ালের তৃতীয় গোলটিও এসেছে বেনজেমার সুবাদে। মাঝমাঠে বেনজেমার পা থেকে বল পান লুকাস ভাসকেজ। তাঁর এক থ্রু বলে ডান প্রান্ত ধরে ছুটে যান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ভিনির ক্রস থেকে ট্যাপ ইন করে গোল করেছেন স্বদেশি কাসেমিরো। ৩৯ মিনিটের এই গোলে ৩-০ ব্যবধান নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল খেয়ে বসেছে রিয়াল। সেটাও আবার রিয়ালের এক খেলোয়াড়ের পা থেকে । ধারে লেভান্তেতে খেলা বোর্হা মায়োরাল ৪৮ মিনিটে গোল করেই বার্নাব্যুর দর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। ৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করা গঞ্জালো মেলেরোর সে দায় ছিল না। গোল করেই আনন্দে ফেটে পড়েছেন মেলেরো।। এর মাঝেই রিয়ালের হয়ে আনুষ্ঠানিক ম্যাচে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছেন এডেন হ্যাজার্ড। অভিষেকেই রিয়ালের হয়ে গোলও পেতে পারতেন। কিন্তু লেভান্তের গোলরক্ষক আইতোরের দুর্দান্ত সেভে তা আর হয়নি। আজ আইতোর না থাকলে রিয়ালকে ম্যাচ জেতার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো না। আটটি সেভ করেছেন আইতোর। ভিনিসিয়ুসের একটি গোল এর মাঝে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে বেনজেমার আরেকটি শট বারে লেগে ফিরে এসেছে।