ছক্কার খেলায় আফগানদের সঙ্গে পারল না জিম্বাবুয়ে

নবী ও নজিবউল্লাহর জুটিই জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। ছবি: প্রথম আলো
নবী ও নজিবউল্লাহর জুটিই জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। ছবি: প্রথম আলো

এক দল এক শ পেরিয়েছে ১৪ ওভারে। অন্য দল মাত্র ৩ বল পরেই। কিন্তু প্রথম দল ইনিংস শেষ করল ১৯৭ রানে। অন্য দল ১৬৯ রানে। দুই দলের মধ্যে পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছে চার-ছক্কা মারার ক্ষমতা। সে ক্ষমতাতেই জিম্বাবুয়েকে ২৮ রানে হারাল আফগানিস্তান।

১৩.৪ ওভারে এক শ ছোঁয়া আফগানদের রান ১৫ ওভার শেষেও ছিল ৪ উইকেটে ১০৯। নজিবউল্লাহ জাদরান ছিলেন ১৫ রানে। ৫ বলে ৫ রান করা মোহাম্মদ নবী তাঁর সঙ্গী। তখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের সম্ভাব্য স্কোর ১৭০ মনে হচ্ছিল। কিন্তু ছক্কার বন্যা বইয়ে সব ধারণা পাল্টে দিয়েছেন নজিবউল্লাহ-নবী। পাঁচে নামা নজিবউল্লাহ ৩০ বলে ৬৯ রান তুলেছেন। অপরাজিত এ ইনিংসে ৫টি চার সঙ্গে ছিল ৬ ছক্কা। নজিবউল্লাহর আড়ালে পড়ে যাওয়া মোহাম্মদ নবী চারটি ছক্কায় ১৮ বলে ৩৮ করে আউট হয়েছেন ইনিংসের শেষ বলে। ৪০ বলে ১০৭ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।

১৬.৩ থেকে ১৭.৩ ওভার-শুধু এই ৭ বলেই টানা ৭টি ছক্কা মেরেছেন নবী ও নজিবউল্লাহ! ১৭তম ওভারের শেষ চার বলে টেন্ডাই চাতারাকে চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন নবী, নেভিল মাদজিভার করা পরের ওভারের প্রথম তিন বলে তিন ছক্কা নজিবউল্লাহর। কিন্তু এরপরের ১৫ বলে ছক্কা মাত্র একটি। অবশ্য তাতেই মিরপুর স্টেডিয়াম টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা দেখে ফেলেছে। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের (বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪টি ছক্কা) রেকর্ড ছাড়িয়ে আফগানদের ছক্কা ১৫টি! শেষ ৫ ওভারেই এসেছে ৮৮ রান! তাতে প্রথম ইনিংস শেষেই ম্যাচটাকে জিম্বাবুয়ের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে আফগানিস্তান। নবী-নজিবউল্লাহর ঝড়ের আগে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৫ চার ২ ছক্কায় ২৪ বলে করেছিলেন ৪৩ রান।

রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ২৫ রান তোলার পরই পথ হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে টানার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড জুটি গড়া বার্ল ও মুতুমবোজি। ৩৭ রানের জুটি ভাঙার পর একমাত্র চাকাভাই প্রয়োজনীয় গতিতে রান তুলতে পেরেছেন। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২২ বলে ৪২ করা চাকাভাকে অন্য প্রান্তে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ।