জেতানোর পরও নেইমার বললেন, চলে যেতে চেয়েছিলাম

গোল করেই থামেননি নেইমার, দুয়োর জবাবও দিয়েছেন। ছবি: এএফপি
গোল করেই থামেননি নেইমার, দুয়োর জবাবও দিয়েছেন। ছবি: এএফপি

এমন পরিস্থিতিতে কখনো মাঠে নামতে হয়নি তাঁকে। এ মৌসুমে কাল প্রথমবারের মতো ক্লাবের পক্ষে খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নেইমারকে দুয়ো দেওয়া শুরু করেছিল পিএসজির সমর্থকেরা। নিজের মাঠে নিজের সমর্থকদের এমন আচরণ থামেনি পুরো ম্যাচে। যখনই বল ধরেছেন, দুয়ো শুনেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৯২ মিনিটে দলকে জেতানো গোলের পর মনে হয়েছিল সে দুয়ো এবার কমবে। কিন্তু ম্যাচের পর যা বলেছেন নেইমার, তাতে সে সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বাইসাইকেল কিকে করার গোলের পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল পিএসজির গ্যালারি। কিন্তু পুরো ম্যাচ জুড়ে যে দুয়ো সহ্য করতে হয়েছে নেইমারকে সেটা ওই উচ্ছ্বাসে ঢাকা পড়েনি। ম্যাচ শেষে তাই সরাসরি বলেছেন পিএসজিতে নিজের ইচ্ছায় খেলছেন না, ‘সবাই জানে আমি চলে যেতে চেয়েছিলাম। আমি এটা পরিষ্কার করেই বলেছি। বিস্তারিত বলব না, এতে অন্যদের ক্ষতি হবে। কিন্তু আমি এখনো পিএসজির খেলোয়াড় এবং মাঠে থাকলে খুশি থাকার ইচ্ছা। আমার মাথায় এখন শুধু পিএসজিই। পিএসজি বা সমর্থকদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি ব্যক্তিগত কারণে যেতে চেয়েছি এবং আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তারা আমাকে যেতে দেয়নি।’

পিএসজির সমর্থকদের আচরণে মন খারাপ হয়েছে নেইমার। কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার, ‘দলবদলের সবকিছু এখন শেষ। প্রথম ও শেষবারের মতো আমি এ ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলছি। আপাতত আমি শুধু পিএসজি নিয়ে ভাবছি। কিন্তু এটা দুঃখজনক যে দুয়ো শুনতে হচ্ছে। আমি জানি এখন থেকে যতবার ঘরের মাঠে খেলব আমাকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের আচরণ পেতে হবে। সমর্থকদের উচিত ৯০ মিনিটই সমর্থন দেওয়া, এটা খেলোয়াড়দের দুয়ো দেওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে মুখে দুয়ো দিচ্ছেন সেটা দিয়েই তো গোলের উচ্ছ্বাস করতে হবে। পুরো ম্যাচ আমাকে দুয়ো দিয়ে পার করে আমার কিন্তু ঠিকই উদ্‌যাপন করতে হয়েছে।’