এ হারেও ইতিবাচক কিছু পাচ্ছেন সাকিব

আফগানদের বিপক্ষে আবারও ব্যর্থ সাকিবরা। ছবি: প্রথম আলো
আফগানদের বিপক্ষে আবারও ব্যর্থ সাকিবরা। ছবি: প্রথম আলো

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে হারার পরই সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ২০ বছর খেলার পর শিখছি, এটা বলা যায় না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট খেলার বয়স এখনো দুই দশক হয়নি। সে কারণেই হয়তো আফগানিস্তানের কাছে হারের পরও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে নিতে পারছেন সাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়ক ত্রিদেশীয় সিরিজের চট্টগ্রাম পর্বে সেই দিকেই নজর দেবেন।

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি জিতেছে সেই কবে, ২০১৪ সালে। এর পর টানা চারটি ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও তাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে চারটি জয়, খুবই দারুণ এক ব্যাপার। তাঁর আগে কথা বলতে আসা সাকিবের কণ্ঠে ছিল ঠিক উল্টো সুর। তাঁকে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, এ হার থেকে ইতিবাচক কোন দিকটা খুঁজে পাচ্ছেন যা চট্টগ্রাম পর্বে নিয়ে যাচ্ছেন সাকিব? একটু ভেবে উত্তর খুঁজে পেয়েছেন সাকিব, ‘আমরা অনেক বেশি অতিরিক্ত রান দিয়েছি। এই ১৫ রান (১৮) কম দিতে পারলেই, ব্যবধান কমে আসত ১০ রানে। এই ছোট ছোট দিকগুলো ঠিক রাখতে হবে।’

আজ মুশফিকের সুবাদে ৮ রান বাই পেয়েছে আফগানিস্তান। মাত্র ২০ ওভারের ম্যাচে ৬টি ওয়াইডও দিয়েছেন বোলাররা। এসব ক্ষেত্রে একটু নিয়ন্ত্রণ থাকলেই এত রান মুফতে পেত না আফগানিস্তান। তবে সাকিবকে মূল চিন্তায় ফেলবে বোলারদের ম্যাচের শেষভাগে ওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা। শেষ ১০ ওভারে ১০৪ রান দিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবও বোলারদের এভাবে নিয়ন্ত্রণ হারানোয় চিন্তিত, ‘প্রথম দশ ওভারে আমরা খুব দারুণ বল করেছি। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে ওরা ১০৬ রান করেছে। এমন উইকেটে সেটা মানা কঠিন। যে নো বলে আসগর বেঁচে গেছে, সেটাই মোমেন্টাম বদলে দিয়েছে।’

বোলাররা তবু ভালো শুরু এনে দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা যে সেটাও করতে পারছেন না। সে ব্যর্থতাও মেনে নিয়েছেন সাকিব, ‘শুরুতে আমরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়েছি।’