রশিদের সঙ্গে সাকিবের কী নিয়ে লেগেছিল

সাকিব আল হাসান। মাঠে রশিদ খানের সঙ্গে কি হয়েছিল, সংবাদ সম্মেলন এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ছবি: প্রথম আলো
সাকিব আল হাসান। মাঠে রশিদ খানের সঙ্গে কি হয়েছিল, সংবাদ সম্মেলন এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ছবি: প্রথম আলো

১১ রানে দুই ওপেনার ফেরার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন সাকিব আল হাসান। ১২ বলে ১৫ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার। মুজিবুর রহমানের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শুরুতে রশিদ খানের সঙ্গে হঠাৎ কিছু একটা নিয়ে লেগে গেল সাকিবের।

কথার লড়াইয়ের পর পরই মুজিবকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে রশিদেরই হাতে ক্যাচ দিলেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়কের ওভাবে খেলতে যাওয়ার বড় কারণ হতে পারে আফগান অধিনায়কের সঙ্গে ‘বাতচিতে’র পর মনোযোগ হারিয়ে ফেলা। ক্যাচ ধরে রশিদের অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছিল, দারুণ ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছেন!

তা রশিদের সঙ্গে কী নিয়ে লেগেছিল, সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা এড়িয়ে যেতে চাইলেন সাকিব, ‘তেমন কিছু হয়নি। জানি না, কী বলব।’

আফগানিস্তান দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুজিবুর রহমান অবশ্য সাকিব-রশিদের কথা-কাটাকাটির কারণ কিছুটা বললেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। ওই সময় রশিদ আম্পায়ারকে শুধু মোবাইলের আলো নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল। দর্শকেরা তখন গ্যালারিতে মোবাইলের আলো নেভাচ্ছিল আর জ্বালাচ্ছিল, রশিদ সেটা নিয়েই জিজ্ঞেস করছিল।’

আরেকটি সূত্রে জানা গেল, গ্যালারিতে দর্শকদের মোবাইলের আলো জ্বলা-নেভার কথা জানিয়ে আকস্মিক খেলা বন্ধ করেছিল আফগানিস্তান। আম্পায়াররা তখন জানিয়েছেন, বিষয়টা তাদের হাতে নেই। এটা নিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। সাকিবের আপত্তিটা ছিল এখানেই, গ্যালারিতে মোবাইলের আলো নেভা-বন্ধ নতুন কিছু নয়। এটা নিয়ে অভিযোগের কী আছে? আর হুট করে খেলা থামানোর অর্থ কী? রশিদের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাকিবেরও বেশ মূল্য দিতে হয়েছে, মনস্তাত্ত্বিক খেলা ক্রিকেটে মনোযোগে সামান্য বিচ্যুতি ঘটলেই যে বড় সর্বনাশ!