তবু অ্যাশেজ নিজেদের রেখেই বাড়ি ফিরছে অস্ট্রেলিয়া

ম্যাচ হেরেও অ্যাশেজ ধরে রাখার উল্লাসে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়েরা। ছবি: এএফপি
ম্যাচ হেরেও অ্যাশেজ ধরে রাখার উল্লাসে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়েরা। ছবি: এএফপি

ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৯ রান করা লাগত অস্ট্রেলিয়ার। অ্যাশেজের শেষ ম্যাচে প্রায় ৪শ ছুঁই-ছুঁই রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামলে কাউকে না কাউকে ‘ম্যাজিক্যাল’ একটা কিছু করতেই হতো। অস্ট্রেলিয়া দলে স্মিথ ছিলেন; এই সিরিজে স্মিথ যেমনটা খেলেছেন তাতে তাঁর কাছ থেকে অমন কিছু আশা করাটা অন্যায় ছিল না নিশ্চিত! কিন্তু স্মিথ তেমন কিছু আর করতে পারেননি। ৫৩ বলে ২৩ রান করেই সাজঘরে ফিরেছেন। এই সিরিজে প্রথমবার ৮০ রানের নিচে আউট হন স্মিথ। 

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একমাত্র ওয়েডই লড়াই করেছেন। পেয়েছেন শতকও (১১৭)। শেষ পর্যন্ত ওয়েডের শতকটি অবশ্য বৃথাই গেছে। অজিরা ম্যাচ হেরেছে ১৩৫ রানের বড় ব৵বধানে। যদিও এই জয়ে শুধু সিরিজে ২-২ সমতাই ধরে রেখেছে ইংলিশরা। আগের ম্যাচ জিতে অ্যাশেজ ধরে রাখার কাজটা সেরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।

৩৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২৬৩ রানে গুটিয়ে যায়। এর আগে চতুর্থ দিনে ইংলিশরা শুরু করেছিল ৮ উইকেটে ৩১৩ রান নিয়ে। রোববার স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ করেই ফিরে যান আর্চার ও লিচ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্রডের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ। দলের ১৮ রানের মাথায় হ্যারিসকে ফেরান ব্রড। এরপর ২৯ রানের মাথায় ওয়ার্নার আবারও ব্রডের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এই সিরিজে সপ্তমবারের মতো ব্রডের শিকার হন ওয়ার্নার।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়তে থাকে। ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারালে তখনই শঙ্কায় পড়ে অজিরা। কারণ ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার দুই আস্থার প্রতীক লাবুশেন ও স্মিথও ফিরে যান। এরপর ওয়েডের শতক শুধু ম্যাচের দৈর্ঘ্যই বড় করেছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন ব্রড ও লিচ। বাকি দুইটি উইকেট শিকার করেন জো রুট। ম্যাচসেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার।