ভিডিওতে মৃত বাবাকে দেখে কাঁদলেন রোনালদো

বাবাকে দেখে আবেগাক্রান্ত রোনালদো। ছবি : আইটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া
বাবাকে দেখে আবেগাক্রান্ত রোনালদো। ছবি : আইটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া
>ব্রিটিশ টিভি তারকা পিয়ার্স মরগানের সঙ্গে একটা টক শোতে অংশ নিয়ে আবেগাপ্লুত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শো এর একটা পর্যায়ে তাঁর মৃত বাবার একটা ফুটেজ দেখান হয়। সেটি দেখে রোনালদো নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি।

তারকাখ্যাতি পাওয়ার আগেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাঁর বাবাকে হারিয়েছিলেন। যকৃতের রোগে মৃত্যু হয়েছিল হোসে দিনিস আভেইরোর, প্রচুর পান করতেন। ছেলের সাফল্য দেখে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। সেই বাবার জন্য কাঁদলেন জুভেন্টাস তারকা।

কয়েক দিন আগে ব্রিটিশ চ্যানেল আইটিভির একটি টক শোতে এসেছিলেন রোনালদো। ব্রিটিশ টিভি তারকা পিয়ার্স মরগানের সঞ্চালনায় সে টক শো তে উঠে এসেছে রোনালদোর জীবনের উত্থান-পতন। সে টক শো এর একটা মুহূর্তে রোনালদোর মৃত বাবার একটি ফুটেজ দেখানো হয়। রোনালদো হয়তো এটির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। ফুটেজটি দেখেই নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি পেশাদারি খোলসে, কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

ফুটেজটা ২০০৪ ইউরোর ঠিক আগের সময়টার। সে টুর্নামেন্টের অন্যতম উঠতি তারকা ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইউসেবিও ও লুইস ফিগোদের হাত ধরে পর্তুগাল আরেকজন তারকা পেতে যাচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মধ্যে, সবাই সেভাবেই ভাবছিলেন। এ কারণে সেই টুর্নামেন্টের আগে রোনালদোর বাবার একটা সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। নিজের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎকারটা দেন হোসে দিনিস। ছেলের অর্জনে যে তিনি কতটা গর্বিত, ছেলের প্রতিভায় যে তিনি কতটা মুগ্ধ, ছোট্ট সাক্ষাৎকারে ফুটে ওঠে সেটা। এর পরের বছরেই মারা যান হোসে দিনিস।

ফুটেজটা এর আগে কখনো দেখেননি রোনালদো। ফুটেজটা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পাঁচবারের বিশ্বসেরা এই ফুটবলার, ‘আমি এই ভিডিওটা কখনো দেখিনি। অবিশ্বাস্য লাগছে আমার কাছে।’

ছোট্ট ফুটেজটি যে তাঁর জন্য কতটা আবেগের সেটি টক শোতে বলেছেন পর্তুগিজ তারকা, ‘আমি ভেবেছিলাম সাক্ষাৎকারটা মজার হবে। হাসাহাসি হবে। আমি এখানে এসে কাঁদতে চাইনি। কিন্তু কী করব। এই ভিডিওটা আমি এর আগে দেখিনি কখনো। আমাকে এই ছবিগুলো সংগ্রহ করতে হবে। ছবিগুলো আমার পরিবারকে দেখাতে হবে। আমি জানি না ছবিগুলো আপনারা কোত্থেকে খুঁজে পেয়েছেন।’

বাবার সঙ্গে কেমন ছিল রোনালদোর সম্পর্ক? এ ব্যাপারেও মন খুলে দিয়েছেন তিনি, ‘আমি আসলেই আমার বাবাকে শতভাগ বুঝতাম না। তিনি অনেক পান করতেন। তাঁর সঙ্গে আমার কখনো স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়নি। কষ্ট লাগে, উনি কিছুই দেখে যেতে পারলেন না। আমার সাফল্য, আমার ভাই-বোন, আমার চার ছেলে মেয়ে, এত এত ট্রফি। কিছুই দেখে যেতে পারলেন না তিনি।’