রোমানের চোখ এখন অলিম্পিকে

আজ দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা পেয়েছেন রোমান সানা। সংগৃহীত ছবি
আজ দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা পেয়েছেন রোমান সানা। সংগৃহীত ছবি

এশীয় র‌্যাঙ্কিং আর্চারিতে সোনাজয়ী রোমান সানা আজ দেশে ফিরেই পেলেন ফুলেল শুভেচ্ছা। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল দেশের গর্ব এই তীরন্দাজকে মিষ্টি খাইয়ে বরণ করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে রোমান যেন ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য দেশকে উপহার দিতে পারেন সেই প্রত্যাশাটা জানিয়ে রেখেছেন। 

রোমানের সঙ্গে ফিরেছেন দলগত ইভেন্টে রুপাজয়ী তামিমুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাকিম। মিশ্র দ্বৈতে ব্রোঞ্জজয়ী বিউটি রায়। বিমানবন্দরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহা সচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, আর্চারি ফেডারেশনের সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মঈনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, পৃষ্ঠপোষক মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।

১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে বক্সিংয়ে মোশাররফ হোসেনের ব্রোঞ্জ জয় ছাড়া এশীয় পর্যায়ে আর কোনো ব্যক্তিগত পদক নেই বাংলাদেশের। রোমান সেই ব্যর্থতার ইতিহাসকে বদলে দিয়েছেন সোনার পদক। এই রোমানই জুনে বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয়ের মধ্যে দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে যেকোনো খেলার বিশ্ব আসরে পদক জিতেছিলেন।

একই সঙ্গে গত জুনে আর্চারির বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে সেমিতে উঠেই তিনি গড়েছিলেন আরেক ইতিহাস—প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অলিম্পিকে সরাসরি খেলার ছাড়পত্র। বিমানবন্দরে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান, ‘রোমান সানাসহ আর্চারদের এই অর্জনে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও আমাদের সোনার ছেলেরা সাফল্য অব্যাহত রেখে দেশের জন্য সম্মান ও গৌরব বয়ে আনবে।’

আর ঢাকায় পা রেখেই নতুন অলিম্পিক মিশন শুরু করতে যাচ্ছেন রোমান। এখন তাঁর চোখ অলিম্পিকে, ‘সেই ২০১৩ সাল থেকে অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন দেখি। কবে অলিম্পিকের মঞ্চে উঠব। দেশকে একটা পদক উপহার দেব। কিন্তু যত সহজে বলা যায়, কাজটা সহজ নয়। অলিম্পিক অনেক বড় আসর। আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে।’