বিরিয়ানি আর নয়, মিসবাহর আদেশ

পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল হক। ছবি: এএফপি
পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল হক। ছবি: এএফপি
>পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খাদ্যাভ্যাসে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন দেশটির প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ -উল হক। ঘরোয়া ক্রিকেট ও জাতীয় ক্যাম্পে তেলযুক্ত ও মিষ্টি জাতীয় খাবার নিষিদ্ধ করেছেন তিনি।

পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন নতুন কিছু না। গত বিশ্বকাপেই এ নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। জাতীয় দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাই আর দেরি করেননি মিসবাহ-উল হক। প্রথম পদক্ষেপটাই নিলেন ফিটনেস নিয়ে। খেলোয়াড়দের খাবারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন মিসবাহ। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে জাতীয় দল—সব জায়গা থেকেই তেলযুক্ত ও মিষ্টি জাতীয় খাবার তুলে দিয়েছেন সাবেক এ অধিনায়ক।

বিরিয়ানির প্রতি বিশেষ টান রয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। গত বিশ্বকাপে জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমে খেলোয়াড়দের বিরিয়ানিপ্রীতির সমালোচনা করেছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। মিসবাহ দায়িত্ব পাওয়ার পর সবার আগে মনোযোগ দিয়েছেন খেলোয়াড়দের ফিটনেসের ওপর। আর তাই তেলযুক্ত খাবার যেমন—বিরিয়ানি, মাংস এমনকি মিষ্টি জাতীয় খাবার পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছেন মিসবাহ। পাকিস্তানে প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টে কায়েদ-এ-আজম ট্রফিতে খেলোয়াড়দের খাবার সরবরাহের দায়িত্ব যে ক্যাটারিং সার্ভিসের, সেখানকার ব্যবস্থাপক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের এখন থেকে আর বিরিয়ানি ও চর্বিযুক্ত খাবার সরবরাহ করা যাবে না।’

এসব খাবারের বদলে কাবাব, পাস্তা এবং প্রচর ফলমূল সরবরাহ করা হবে ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো থেকে জাতীয় ক্যাম্পে। মিসবাহর এ সিদ্ধান্ত নিয়ে পিসিবির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ‘জাতীয় দলের বাইরে থাকার সময় ফাস্টফুড ও চর্বিযুক্ত খাবার খুব পছন্দ ক্রিকেটারদের। কিন্তু মিসবাহ খেলোয়াড়দের বলে দিয়েছেন, এখন থেকে খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ে দৈনন্দিন সূচি থাকবে, কেউ তা না মানলে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।’

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ ৪৩ বছর বয়স পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। ফিটনেস নিয়ে দেশটির অনেক ক্রিকেটারের কাছেই তিনি ‘রোল মডেল’।