'ফেসবুকে নজর কম দেওয়ার চেষ্টা করি'
সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো ফল না করা, শ্রীলঙ্কায় ধবলধোলাই হওয়া, দেশের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা হার—ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন সাকিবরা।
দলের বাজে পারফরম্যান্স, এলোমেলো দল নির্বাচন, বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের নানা বিতর্কিত বক্তব্য, সিদ্ধান্ত—কদিন ধরেই তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অন্ধকার মনে করছেন অনেকে! কেউ কেউ রায় দিচ্ছেন, বিসিবির পরিণতি হতে পারে জিম্বাবুয়ে কিংবা কেনিয়ার মতোই। এই যে চারদিকে এত নেতিবাচক কথা, এত নেতিবাচক আলোচনা—ক্রিকেটাররা কীভাবে শক্ত থাকছেন এই দুঃসময়ে? কীভাবে পথ খুঁজছেন আবারও জয়ের ধারায় ফেরার?
দলের প্রতিনিধি হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসা মোসাদ্দেক হোসেন বললেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন নেতিবাচক আলোচনা থেকে দূরে থাকতে। চেষ্টা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকার, ‘যখন আমরা ভালো খেলি, অন্যরকম একটা পরিবেশ থাকে। যখন হারি বা খারাপ খেলতে থাকি তখন অনেক সমালোচনা হয়। চেষ্টা করি যতটা এসব এড়িয়ে চলা যায়। খেলায় যত বেশি মনোযোগ রাখা যায়। তখন ক্রিকেট নিয়েই চিন্তা করি, কীভাবে দুঃসময় কাটিয়ে ওঠা যায়। খারাপ সময়টা থেকে কীভাবে বের হওয়া যায়। সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুকে নজর কম দেওয়ার চেষ্টা করি।’
মোসাদ্দেক মনে করেন, ধারাবাহিক জয়ই পারে পুরো পরিবেশ বদলে দিতে, ‘আমাদের একটা মোমেন্টাম জরুরি। একটা ম্যাচ জেতা দরকার। প্রথম ম্যাচ জিতেছি, একটা ম্যাচ হেরে গেছি। সামনের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জেতার জন্যই খেলব। শতভাগ আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলব।’
দলের এই ক্রান্তিকালে যদি অধিনায়ক হতেন মোসাদ্দেক, তাহলে দলকে কি বার্তা দিতেন? তরুণ অলরাউন্ডার জানালেন, সতীর্থদের ভুল কমিয়ে আনার বার্তা দিতে চান, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেললে ওদের স্পিনার নিয়ে বেশি কথা ওঠে। দেখেন আমরা ম্যাচ হারছি ২০ রানে (২৫ রানে)। ওদের যে স্পিনার আছে আমরা যদি আরেকটু হিসেব করে খেলি বা আর যে ভুল করছি তা আরেকটু কমিয়ে ফেলতে পারি...আমার মনে হয় সব জায়গায় আমরা ঠিক আছি। টি-টোয়েন্টিতে ১৬০ রান হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা সেখানে ১৪৫ বা ১৫০ রান করছি। যে জায়গায় আমরা একটু বেশি তাড়াহুড়ো করছি সে জায়গায় ভুল কমিয়ে ফেললে আমাদের ম্যাচ জেতার হার বেড়ে যাবে।’