পাকিস্তানে পিএসএল নিয়ে বড় দুর্নীতির অভিযোগ

পিসিবি সভাপতি এহসান মানি। ছবি: এএফপি
পিসিবি সভাপতি এহসান মানি। ছবি: এএফপি
>পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) যাবতীয় হিসাব নিরীক্ষা করে বেরিয়ে এসেছে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়ম। নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়েছে।

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্রথম দুই সংস্করণের আর্থিক হিসাব নিয়ে বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন দেশটির জাতীয় হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাতে বেরিয়ে এসেছে ২৪৮ মিলিয়ন রুপির আর্থিক অনিয়ম।

সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এ প্রতিবেদন পেশ করা হয়। সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রতিবেদনে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের টাকা পরিশোধে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে হিসাব মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিস। এ ছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রির জন্য আগাম অর্থ গ্রহণ, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে ব্যর্থতা, সংবাদকর্মী ও বোর্ড পরিচালক সদস্যদের ভাতা (টিএ/ডিএ) ক্ষেত্রেও চরম দুর্নীতি বেরিয়ে এসেছে এ প্রতিবেদনে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে পাওনা নিয়ে অনিয়ম করছে পিসিবি। সেটি লভ্যাংশ বণ্টনের চুক্তিকেও ছাড়িয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ২৪৮.৬১৫ মিলিয়ন রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা) লোকসান গুনতে হয়েছে পিসিবিকে।

ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ক্ষতিপূরণ দিতে অনিয়ম করায় আরও ৫৪.৪৯০ মিলিয়ন রুপি লোকসান হয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের। এ ছাড়াও অযৌক্তিকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের নিলাম করায় ক্ষতির পরিমাণ ১১ মিলিয়ন ডলার। দলগুলোর কাছে বকেয়া ৩২.০৫০ মিলিয়ন রুপি তুলতে পারেনি পিসিবি। পিএসএল দ্বিতীয় সংস্করণের ফাইনাল আয়োজনেও আর্থিক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে দেশটির হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়। যথাযথ পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই দ্বিতীয় সংস্করণের ফাইনাল আয়োজনে ১৮.৮৮০ মিলিয়ন রুপি খরচ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।

পিএসএল তহবিল থেকে বেআইনিভাবে পিসিবির অর্থ সরানোর প্রমাণও পেয়েছে পাকিস্তানের হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়। এ খাতে দেশের বাইরে তৃতীয় পক্ষের ব্যাংক হিসাবে ১৪৫.১৪৮ মিলিয়ন রুপি সরানো হয়েছে। বাণিজ্যিক সম্প্রচার স্বত্বের নিলাম না করায়ও ১৩ মিলিয়ন রুপি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে পিসিবির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবাদকর্মীদের ভাতাদি (টিএ/ডিএ) দেওয়ায় ১২.৬৪৬ মিলিয়ন রুপি অপচয় করেছে বোর্ড। আর বোর্ড পরিচালকদের টিএ/ডিএ দেওয়ায় অপচয় করা হয়েছে ২.৭৭২ মিলিয়ন রুপি।

মোট ৩৯ অনুচ্ছেদের এ প্রতিবেদনের জবাবে নিজেদের এসব কাজ-কর্মের যৌক্তিকতা প্রমাণের চেষ্টা করেছে পিসিবি। কিন্তু হিসাব নিরীক্ষকেরা পিসিবির দাবি নাকচ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ডন।