ফাইনালের জন্য 'তৈরি' হতে চান মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ কাল ব্যাট হাতে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। ছবি: প্রথম আলো
মাহমুদউল্লাহ কাল ব্যাট হাতে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। ছবি: প্রথম আলো

বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তারপর থেকে তো আরও বাজে সময় কাটছে। শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজ হারের পর দেশের মাটিতে টেস্ট হারতে হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ত্রিদেশীয় সিরিজেও প্রথম মুখোমুখিতে হারানো যায়নি আফগানিস্তানকে। এমন বাজে সময়ের মধ্যেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে বাকি দুই প্রতিপক্ষ বিচারে এ ফাইনাল নিয়ে হয়তো উচ্ছ্বাসের কিছু নেই তবে এটি একেবারে ফেলনাও না। যেকোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠাই কঠিন—এ তো খেলাধুলারই আপ্তবাক্য।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। রশিদ খানের দলের বিপক্ষে ফাইনালের আগেই ‘মহড়া’ দিতে হবে সাকিব আল হাসানের দলকে। চট্টগ্রামে শনিবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে আফগানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কাল জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব মাঠেই বলেছিলেন, ফাইনালের আগের ম্যাচে হারাতে চান আফগানিস্তানকে। দলের আরেক সিনিয়র খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও ঝরল একই প্রত্যয়। বিশেষ করে দলের বাজে সময়ে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না মাহমুদউল্লাহ।

দলের সবাই এই বাজে সময় কাটাতে মরিয়া, আর সে জন্য জয়ের বিকল্প নেই। মাহমুদউল্লাহ সে কথাই জানালেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ভালো রেজাল্ট করছিলাম না। তাই সবার ভেতরেই ওই স্পৃহা ছিল। সবাই কথা বলেছিল এ নিয়ে। এখন আমাদের লক্ষ্য, আফগানিস্তানের সঙ্গে যেন একই (জিম্বাবুয়ে ম্যাচ) কিংবা আরও ভালো পারফরম্যান্স করে জিততে পারি। এবং ফাইনালের জন্য যেন তৈরি হতে পারি।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের ধরনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। আগে ব্যাট করে এক শ আশি ছুঁই ছুঁই স্কোর গড়ে ৩৯ রানের ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে কখনোই ম্যাচে থাকতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। এ আত্মবিশ্বাসকে পরের ম্যাচে কাজে লাগাতে চান মাহমুদউল্লাহ, ‘আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই থাকবে। ফিল্ডিংয়ে নামার সময় সাকিবের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, সম্ভবত ১০-১৫ রান কম হয়েছে। তারপরও বোলাররা যেভাবে ভালো বোলিং করেছে তাই এ সংগ্রহই বড় মনে হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে পরের ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ওপরে আছে। তারা আছে ৭ নম্বরে আমরা সম্ভবত ১০ নম্বরে। তাই আমাদের অনেক ভালো খেলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা যেন আত্মবিশ্বাসটুকু নিয়ে যেতে পারি ফাইনালে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ পর্যন্ত পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। একটা বাদে হেরেছে বাকি চার ম্যাচেই। আফগানিস্তানকে শেষবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ২০১৪ সালের মার্চে। এরপর শুধুই হার। পাঁচ বছরের এ খরা কাটাতেই গ্রুপপর্বের ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য এখন এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, আর ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার কৌশলটুকু তো থাকছেই। মঙ্গলবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল।