সারা রাত ঘুমাতে পারেননি আমিনুল

>যেদিন খবর পেলেন বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন, কেমন লেগেছিল আমিনুলের? এরপর দারুণ অভিষেকের পর হাতের চোট—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই আমিনুল দেখে ফেললেন ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারের আনন্দ-বেদনার দুটি দিকই।
ব্যান্ডেজ মোড়ানো হাত নিয়ে আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে আমিনুল। ছবি: প্রথম আলো
ব্যান্ডেজ মোড়ানো হাত নিয়ে আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে আমিনুল। ছবি: প্রথম আলো

বাঁ হাতে ব্যান্ডেজ জড়ানো। কাল রাতে তিনটা সেলাই পড়েছে এ হাতে। হোটেল র‍্যাডিসন ব্লুর লবিতে আজ দুপুরে আমিনুল ইসলামের হাসিখুশি মুখ দেখে অবশ্য বোঝার উপায় নেই, চোটটা মোটেও হালকা নয়!

আমিনুল যেন আছেন স্বপ্নের ঘোর। এক সপ্তাহ আগেও ভাবতে পারেননি জাতীয় দলে খেলবেন, আন্তর্জাতিক অভিষেকটা হবে রঙিন, হুট করে চলে আসবেন প্রচারের আলোয়। যেদিন শুনলেন বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাচ্ছেন, সে রাতটা ঘুমাতেই পারেননি ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার,‘এই সিরিজে বাংলাদেশের দ্বিতীয় যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা হলো সেই ম্যাচ শেষে সোহেল স্যার (দলের সহকারী কোচ সোহেল ইসলাম) আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। ফোন দিয়ে বললেন, তুই কি কিছু জানিস? বললাম, না স্যার কিছু তো জানি না। এরপর তিনি বললেন যে আচ্ছা ঠিক আছে অপেক্ষা কর, এরপর ভালো একটা সংবাদ পাবি। সাব্বির ভাই (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার সাব্বির খান) আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, অভিনন্দন! তোমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে। খুশিতে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।’

আন্তর্জাতিক অভিষেকে সব খেলোয়াড়েরই কম-বেশি স্নায়ুচাপ থাকে। আমিনুলেরও ছিল। কিন্তু সেই চাপ তিনি কীভাবে সামলেছেন, সেটি খুলে বললেন, ‘সত্যি বলতে কী, ম্যাচের শুরুর দিকে একটু নার্ভাস ছিলাম। তবে পাশ থেকে যখন অভিজ্ঞ সতীর্থরা সমর্থন করেন এবং বলেন যে তোর কিছুই হবে না, চিন্তার কিছু নেই। তুই তোর স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যা, বিশেষ করে সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইয়ের (মাহমুদউল্লাহ) মতো বড় খেলোয়াড়েরা। তখন আসলে আত্মবিশ্বাস এমনি চলে আসে। আমি শুধু এটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।’

আমিনুলের দুর্ভাগ্য সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যে পরের ম্যাচে আবারও ভালো কিছু করবেন, সেটি আপাতত হচ্ছে না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার একটা শট ঠেকাতে বাঁ হাতে পেয়েছেন গুরুতর চোট। চোট নিয়েই ম্যাচ শেষ করেছেন। পরে হাতে তিনটা সেলাই দিতে হয়েছে। এই চোট নিয়ে পরশু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা যে তাঁর খেলা হচ্ছে না, অনেকটাই নিশ্চিত। তবে আমিনুলের জন্য বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। চোটটা যেহেতু বাঁ হাতে (এ হাতে তাঁকে বোলিং করতে হয় না), টিম ম্যানেজমেন্টের আশা, মঙ্গলবার ফাইনালের আগে যদি ব্যথা অনেক কমে যায়, আমিনুলকে নিয়ে একটা ঝুঁকি নেবে তারা।