ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্বস্তির জয়

ম্যাচের শেষভাগে গ্রিনউডের গোলে জয় পেয়েছে ম্যানইউ। ছবি: এএফপি
ম্যাচের শেষভাগে গ্রিনউডের গোলে জয় পেয়েছে ম্যানইউ। ছবি: এএফপি

খেলা শেষ হতে আর মিনিট বিশেক বাকি। কিন্তু গোলের দেখা নেই! একটা গোলের জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হচ্ছিল বারবার। শেষপর্যন্ত গ্রিনউডের গোলে ১-০ স্কোরলাইনে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানইউ। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে গ্রিনউডের একমাত্র গোলে ইউরোপা লিগে আস্তানার বিপক্ষে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

শক্তির বিচারে আস্তানার বিপক্ষে সহজেই জয় তুলে নেওয়ার কথা ছিল ম্যানইউর। সেভাবেই আস্তানাকে চেপে ধরেই খেলেছে ইংলিশ জায়ান্টরা। ম্যাচের ৭৫ শতাংশ সময়ে ম্যানইউ খেলোয়াড়দের দখলেই বল ছিল। কিন্তু গোলের দেখা মিলেছে বেশ পরে। খেলার শেষভাগে। এই ম্যাচে তরুণদের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন ম্যানইউ কোচ ওলে গানার সোলসকায়ের। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন গ্রিনউড-গোমেজরা। শেষ মুহূর্তে হলেও জয় এনে দিয়েছে এই তরুণেরা। ম্যাচে গোলমুখে ২০টি শট নিয়েছে ম্যানইউর খেলোয়াড়েরা। এর অবশ্য মাত্র ৭টিই তাঁরা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছেন। আর আস্তানার খেলোয়াড়দের নেওয়া ৩টি শটের সবগুলোই ছিল বেপথু।

ওল্ডট্রাফোর্ডে খেলার শুরুতেই অবশ্য গোলের দেখা পেতে পারত ম্যানইউ। কিন্তু চতুর্থ মিনিটে ফ্রেডের হেডে অল্পের জন্য রক্ষা পায় আস্তানা। ইউনাইটেডের হয়ে ফ্রেডের অবশ্য গোলই আছে একটা। সেটা গেল বছর সেপ্টেম্বরে ওলভসের বিপক্ষে। এই গোল তাঁকে সোলসকায়েরের গুডবুকে তুলে দিতে পারত হয়তো। ম্যাচের ১৩ মিনিটে মাত্র ২ গজ দূরে থেকে গোল মিস করেন রাশফোর্ড। আস্তানার গোলরক্ষক এরিক তাঁর সামনে দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে নিশ্চিত গোল পেত ইংলিশরা। প্রথমার্ধে এভাবেই বারবার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে ম্যানইউ। এক রাশফোর্ডই দুবার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। আর তাতে তাদের জয়ের জন্য অপেক্ষাটাই শুধু দীর্ঘ হয়। এ ক্ষেত্রে আস্তানাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হয়। কারণ তাদের জমাট রক্ষণ ভাঙতে রীতিমতো ঘাম ছুটেছে ম্যানইউর ফরোয়ার্ডদের।

শেষ পর্যন্ত ৭৩ মিনিটে গ্রিনউডের ডান পায়ের শটে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সোলসকায়েরের শিষ্যরা। ম্যানইউর হয়ে এটিই গ্রিনউডের প্রথম গোল। কে জানে এই গোলই হয়তো এই ১৭ বছর বয়সীকে নিয়মিত একাদশে নিয়ে আসে কিনা।