আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

26

শুরুর ধাক্কা সামলেছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
শুরুর ধাক্কা সামলেছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো

৭ উইকেটে ১৩৮ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১০ বলে ৪ রান করে ফিরেছেন লিটন দাস। একটু পরেই ৮ বলে ৫ রান করে বিদায় নিয়েছেন নাজমুল হোসেন। ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দলকে টানার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৭০ রানের ইনিংসে ৬ বল বাকি থাকা অবস্থায় দলকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন।

নিজের তৃতীয় বলেই দলকে উইকেট উপহার দিয়েছেন আফিফ হোসেন। ৭৫ রানে থামল আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি। ৩৫ বলে ৪৭ রান করা জাজাইকে মোস্তাফিজের ক্যাচ বানিয়েছেন আফিফ। এক বল পরেই আসগর আফগানও ক্যাচ দিয়েছেন আফিফের বলে। ডাবল উইকেট মেডেন দিয়ে বোলিং স্পেল শুরু হয়েছিল আফিফের। 

টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। ফিল্ডিং বেছে নেওয়ার পর যে কোনো দলই চায় শুরুতে প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিতে। বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে আফগান ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শফিউল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারেই এর ফল পেতে পারত বাংলাদেশ। শফিউলের বাউন্সারে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু সহজ সে ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

৭ রানের প্রথম উইকেট হারাতে পারত আফগানিস্তান। সে দল পাওয়ার প্লে শেষ করেছে ৪২ রানে, বিনা উইকেটে। ১ রানে জীবন পাওয়া গুরবাজ ২৯ রান করে আউট হয়েছেন মোস্তাফিজের বলে। একটু পরেই মোহাম্মদ নবীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। 

অভিষেকে আলো ছড়ানো আমিনুল ইসলাম বিপ্লব হাতে চোট পাওয়ায় তাঁকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। সাব্বির তাঁর বদলি হিসেবেই দলে এসেছেন। আজ এক মাইলফলক সামনে নিয়ে নামছেন সাব্বির। আর ৫৫ রান করতে পারলেই পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রান হবে তাঁর।

এরই মাঝে ফাইনালে চলে গেছে দুই দল। আজকের ম্যাচটা তাই ফাইনালের আগে দুই দলেরই ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ।