বাংলাদেশ কখনো বলেনি রশিদ খানের 'ভয়ে' ছিল

আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলেন অভিষিক্ত নাভিন–উল–হক। নাভিনকে নিজের পারফরম্যান্সের চেয়ে বেশি উত্তর দিতে হলো রশিদ খানের চোট নিয়ে। বারবার একই প্রশ্ন হতে দেখে বেশ মজাই পেলেন তরুণ এ আফগান পেসার।

দলের ম্যানেজার নাজিম জার আব্দুর রহিম জাইয়ের কানে কানে নাভিন কিছু একটা বললেন, যেটির অর্থ হতে পারে, ‘দেখেছেন রশিদ খানকে নিয়ে কতটা ভাবে বাংলাদেশ!’ ফিল্ডিং করতে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়া আফগান অধিনায়ক কি আসলেই ফাইনাল খেলতে পারবেন? নাজিম জার বললেন, ‘ফিজিও দেখছে তাকে। দুই–তিন দিন সময় আছে মাঝে। দেখা যাক কী হয়। এখনই বলতে পারছি না সে খেলতে পারবে কি পারবে না।’

চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। পরে আবার ফিরেও এসেছেন রশিদ খান। নিয়েছেন ২টি উইকেট। রশিদের চোট পাওয়াটা কি বাংলাদেশের জন্য ‘স্বস্তির’ খবর? বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই বিব্রতকর প্রশ্ন। তবে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মোসাদ্দেক হোসেন আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানিয়েছেন, চারদিকে যতই রশিদ–রশিদ রব উঠুক, আফগান লেগ স্পিনারকে তাঁরা কখনই ভয় পাননি, ‘কখনোই বলিনি যে রশিদ খানের ভয়ে ছিলাম! মনে করি না এখানে ভয়ের কিছুও আছে।’ মোসাদ্দেক এও জানালেন, আজ রশিদ কখন চোট পেয়েছেন, সেটি তাঁরা খেয়ালই করেননি, ‘হয়তো চোটে না পড়লে আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারত সে। কিন্তু এটা খেলা। আমাদের তখন ঝুঁকি নিতেই হতো (রশিদের যে ওভারে ১৮ রান নিয়েছে বাংলাদেশ)। আমরা সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছি। ও চোটে ছিল কিনা আমরা খেয়াল করিনি (যে ওভারে মার খেয়েছে রশিদ)।’

পাঁচ বছর পর টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে। ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালের আগে আফগান–ধাঁধা মেলানো গেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আফগান স্পিনারদের সামলানোর পথ বের করা গেছে। মোসাদ্দেক বলছেন, টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়েই মিরপুরের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, ‘জয় সব সময়ই আত্মবিশ্বাস জোগায়। ওদের কাছে আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছি। তবে এখন ছন্দটা পেয়ে গেছি। ওদের সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, আগেই বলেছিলাম একটু হিসাবি ক্রিকেট খেলতে হবে, সেটা গত দুই ম্যাচে আমরা খেলেছি। গত দুই ম্যাচে যেভাবে খেলেছি এটা ধরে রাখতে পারলে ফাইনালে আশা করি ভালো কিছুই হবে।’