কোহলি কি ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বেসর্বা

ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপি
ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপি

ভারতীয় ক্রিকেটের ‘বিজ্ঞাপন’ হিসেবে মুখের অভাব নেই। তবে কয়েক বছর ধরে বিরাট কোহলিই সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। বর্তমান বিশ্বে সেরা দুই ব্যাটসম্যানের তালিকাতেও অনায়াসে ঢুকে পড়বে তাঁর নাম। নেতৃত্বভার পাওয়ার পর থেকে দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে একটা কথা প্রচলিত, ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বেসর্বা তিনিই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বুঝিয়ে দিয়েছে, ধারণাটি ভুল। কোহলিকেও জবাবদিহি করতে হয়।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ভারত বাদ পড়ার পর কোহলির কাছে জবাবদিহি চেয়েছিল বিসিসিআই। বোর্ডের প্রশাসকদের (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথাই জানিয়েছেন। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ার পর ভারতেই কোহলিদের পারফরম্যান্সের সমালোচনা হয়েছে। অনেকে তখন প্রশ্ন তুলেছিলেন, এ জন্য কোহলিদের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হবে কি না? এমন কথাও উঠেছিল, জবাবদিহি আর কী হবে! ভারতীয় ক্রিকেটে কোহলিই তো সর্বেসর্বা।

বিনোদ রাই জানালেন, কোহলির কাছে জবাব না চাওয়ার ধারণাটি সম্পূর্ণ ‘ভুল’। সাক্ষাৎকারে সিওএ প্রধান বলেন, ‘ভারসাম্য রাখতে পারলে তা ভালো। দল খারাপ করলে আমি মনে করি না সে দায় শুধু অধিনায়কের। দরজা বন্ধ করে অনেক আলোচনাই হয়েছে...আর তাই কোহলির কাছে কেউ বিশ্বকাপে (সেমিতে) হারের জবাব চায়নি, এমন ধারণা ভুল।’

ভারতের জাতীয় দলে কোচ নির্বাচনে কোহলির হস্তক্ষেপ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমে। রবি শাস্ত্রীর প্রথম মেয়াদে কোচ হওয়ায় কোহলির সরাসরি হস্তক্ষেপ ছিল বলে মনে করে সংবাদমাধ্যম। বিরাট কোহলির পছন্দ নয় বলেই অনিল কুম্বলেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। দ্বিতীয় মেয়াদেও ঠিক একই কারণে শাস্ত্রীকে কেউ সরাতে পারেনি, এমন কথাও আলোচনা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কলামে। আর তাই বিনোদ রাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কি কোহলির ওপর?

কুম্বলের উদাহরণ টেনে বিনোদ রাইয়ের ব্যাখ্যা, ‘কুম্বলের চুক্তিপত্রে মেয়াদ বাড়ানোর কোনো শর্ত ছিল না। আমরা তা বাড়াতে পারব কি না, সেটি ছিল প্রশ্ন। ব্যক্তিগতভাবে আমি বাড়ানোর পক্ষে হলেও সঠিক প্রক্রিয়া মেনে করতে হতো। আমি সেটাই অনুসরণ করতে বলেছিলাম। কোচ হওয়ার আবেদনপত্র চাওয়া, সাক্ষাৎকার-পর্ব এবং তারপর সঠিক ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া। আপনি আমাকে মূর্খ বলতে পারেন তবে সে সময় কোচ ও অধিনায়কের মধ্যে কী চলছে, তা আমি জানতাম না।’