ইয়েমেনের কাছে বড় হার বাংলাদেশের

ভালো শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। ছবি: বাফুফে
ভালো শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। ছবি: বাফুফে
>দোহায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইয়েমেনের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচে কাতারের সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই, আগের ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া। ইয়েমেনের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। কিন্তু ৩-০ গোলে হেরে সে প্রত্যাশার সমাপ্তি হয়েছে। এই হারে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের।

ইয়েমেন শক্তিশালী দল। কিন্তু প্রথমার্ধে তাদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। রক্ষণ যা-ই হোক, আক্রমণভাগে বড় ধরনের দুর্বলতার কারণেই ইয়েমেনকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে রক্ষণের পেছনে গোলরক্ষক মেহেদী ছিলেন দুর্দান্ত। ইয়েমেনি আক্রমণগুলো বারবার নস্যাৎ হয়েছে এই গোলরক্ষকের দৃঢ়তাতেই। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি ঠেকিয়ে মেহেদী দলের হারে গোলের বোঝাটা ভারী হতে দেননি।

ইংলিশ কোচ রবার্ট রাইন্স হিট অ্যান্ড রান ফুটবলের অভ্যস্ত করার চেষ্টা করছেন দলকে। কিন্তু এবারের এএফসি টুর্নামেন্টের তিনটি ম্যাচ দেখে মনে হয়েছে এ পদ্ধতিতে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের কিশোর ফুটবলাররা। যে কয়টা আক্রমণ বাংলাদেশ করেছে, একটিতেও ছিল না পরিকল্পনার ছাপ। বারবার ইয়েমেনের সীমানায় গিয়ে খেই হারিয়েছে দলের ফরোয়ার্ডরা। তবে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু ২১ নম্বর জার্সিধারী সাইফুল ইসলাম সাদের শট ইয়েমেনের রক্ষণের এক খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে বাইরে চলে যায়। সাদ শটটি গোলপোস্টের মধ্যেই রেখেছিল। ইয়েমেনের গোলরক্ষকও সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়েছিল।

৬৪ মিনিটে প্রথম গোলটি হজম করে বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বল ধরে, বাংলাদেশের ডিফেন্ডার জনিকে বডি ডজে পরাস্ত করে দারুণ গোলটি করেন মোহাম্মদ আলী। ৭২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় ইয়েমেন। কর্নার থেকে হেড করে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদীকে পরাস্ত করেন হামজা মাহরুজ। ইয়েমেনের পক্ষে তৃতীয় গোলটিও হামজার।