রশিদ খানের দেশপ্রেম আপনাকে মুগ্ধ করবে

>চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পাওয়া রশিদ খান ফাইনালে খেলবেন তো? আফগান অধিনায়ক বলছেন, দেশের জন্য বড় ত্যাগ স্বীকার করতে তিনি তৈরি
দেশের জন্য সব রকমের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রশিদ খান। ছবি: শামসুল হক
দেশের জন্য সব রকমের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রশিদ খান। ছবি: শামসুল হক

দুই দল আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছিল। পরশু চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটা ছিল নেহাতই আনুষ্ঠানিকতা, ক্রিকেটে যাকে বলে ‘ডেড রাবার’। এই ম্যাচেও রশিদ খানের চেষ্টা দেখে মনে হলো তিনি ফাইনাল খেলতে নেমেছেন!

অষ্টম ওভারে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন রশিদ। বাধ্য হয়ে মাঠের বাইরে চলেও গিয়েছিলেন। মাঝে কিছুটা সেবা-শুশ্রূষা নিয়ে ১৪ ওভারে আবার ফিরেছেন মাঠে। শুধু ফেরেন-ই-নি, ৩ ওভার বোলিং করে দুটো উইকেটও নিয়েছেন। উইকেট দুটিও যেনতেন নয়—মাহমুদউল্লাহ আর আফিফ হোসেন। শেষ পর্যন্ত রশিদের চেষ্টা বৃথা গেছে। ম্যাচটা বাংলাদেশ স্বচ্ছন্দেই জিতেছে।

চাইলেই রশিদ নাও নামতে পারতেন মাঠে। তবুও তিনি কেন নেমেছিলেন? চোট নিয়ে খেলাতে তাঁর ফাইনাল যে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রশিদ নিজেও বুঝতে পারছেন সেদিন তাঁর চোট নিয়ে খেলাটা ঠিক হয়নি। আজ সংবাদ সম্মেলনে আসা আফগান অধিনায়ক বললেন, ‘চোট কতটা গুরুতর এটা বুঝতে চেয়েছিলাম। ফিজিও ও কোচ চায়নি আমি বোলিং করি। প্রথম দুই ওভার ঠিকই ছিল। তবে একটু দৌড়ানোর পর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। আশা করি কাল ঠিক হয়ে যাবে। ফিজিও অনেক কাজ করছে এটা নিয়ে।’

রশিদের এখন আশায় বসতি ছাড়া কিছুই করার নেই। আজ যদিও অনুশীলনে দুই ওভার বোলিং করেছেন। রশিদ বলছেন, চোট যেমনই হোক দেশের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে তৈরি, ‘আমরা সেদিন বোলিং করা ঠিক হয়নি। কিন্তু যখন আপনাকে দলের প্রয়োজন হবে, খেলতেই হবে। দেশের হয়ে খেলার সময় নিজেকে নিয়ে ভাবি না। দেশের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিই। যদি একটা হাত নাও থাকে, তবুও আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমি দেখেছি গত বছর জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাই খেলার সময় কীভাবে আসগর (আফগান) অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করার মাত্র চার দিন পর খেলতে চলে এসেছিল। আমার যদি ১০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে, আমি খেলব (কালকের ফাইনাল)। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। নিজের চেয়ে আমি দেশের জয় দেখতে চাই।’

রশিদ খান যদি শেষ পর্যন্ত নাও খেলেন, তাঁর এ মনোভাবই তো দলকে উজ্জীবিত করতে যথেষ্ট।