অনেক দিন পর...মেসি

‘দ্য বেস্ট’ হলেন মেসি প্রথমবারের মতো। ছবি: এএফপি
‘দ্য বেস্ট’ হলেন মেসি প্রথমবারের মতো। ছবি: এএফপি
>২০১৬ সালে প্রবর্তিত ‘দ্য বেস্ট’ এই প্রথমবারের মতো জিতলেন লিওনেল মেসি।

২০১৫ সালে সবশেষ জিতেছিলেন ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কার তখন ছিল সেটিই। কিন্তু পরের বছরই ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকেই লিওনেল মেসির হাতে তা আর ওঠেনি। তাই এবার ‘দ্য বেস্ট’ ট্রফিটি নিজের করে নেওয়ার পর আর্জেন্টাইন তারকা একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত। একে তো ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কারে প্রথমবারের মতো হাত রাখা, অন্যদিকে ৪ বছর বিরতি দিয়ে বিশ্বসেরা ফুটবলারের খেতাব জেতা—মেসি উচ্ছ্বসিত তো হবেনই। তবে পুরস্কার হাতে নিয়ে দলগত সাফল্যই যে তাঁর মূল আনন্দ সেটি বলতে ভোলেননি।

ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারদের পুরস্কৃত করে আসছে সেই ১৯৯১ সাল থেকে। ২০১০ সালে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্সের ফুটবল সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবলে’র বর্ষসেরা পুরস্কার ব্যালন ডি’অর এক হয়ে যায়। দুই পক্ষের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এ দুটি পুরস্কার এখন আলাদা।

ক্রোয়েশিয়ার শিল্পী আনা বারবিচ কাতিচিচের নকশায় তৈরি ৩১০ মিলিমিটার লম্বা আর ৬.৪ কেজি ওজনের রুপালি এ ট্রফিটি হাতে নিয়ে নিজের পুরোনো বিশ্বাসের কথাই নতুন করে জানালেন মেসি, ‘দলীয় সাফল্য, দলগত পুরস্কারই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে “দ্য বেস্ট” পুরস্কারের মুহূর্তটিও আমার জন্য দারুণ একটা মুহূর্ত।’

মেসি অবশ্য এ মুহূর্তে চিন্তিত লা লিগায় বার্সেলোনার অবস্থা নিয়েই। তবে তিনি মনে করেন এ অবস্থা ঠিকই কাটিয়ে উঠবে তাঁর দল, ‘আমরা লিগটা খুব বাজেভাবে শুরু করেছি। বাজে খেলছি। মৌসুম মাত্র শুরু হয়েছে। তবে আমি মনে করি আমাদের এখনই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’

নিজের চোট সারানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা। প্রাক মৌসুমে কাফ মাসলে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। নতুন মৌসুমে মাত্র দুবার বার্সার জার্সিতে মাঠে নামতে পেরেছেন। বার্সেলোনার ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক কিছুই নির্ভর করছে তাঁর সেরে ওঠার ওপর।

১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের পর লিগে সবচেয়ে বাজে শুরুটা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে বার্সাকে। প্রথম ৫ ম্যাচ থেকে মাত্র ৭ পয়েন্ট পাওয়া বার্সাকে বড্ড অচেনা দেখাচ্ছে এ মৌসুমে।