জাতীয় লিগের শুরুতে সিপিএলে ব্যস্ত থাকবেন সাকিব

সিপিএল খেলতে আগামীকাল দেশ ছাড়ছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
সিপিএল খেলতে আগামীকাল দেশ ছাড়ছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো

এবার জাতীয় লিগের প্রথম দুই-তিনটি রাউন্ড হতে পারে তারকাপূর্ণ। অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা নেই, নভেম্বরে ভারত সফর দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি হিসেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এবার জাতীয় লিগের শুরুর কিছু রাউন্ড খেলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

জাতীয় লিগের প্রথম দুই-তিনটি রাউন্ডে যে তারকার হাট বসতে যাচ্ছে, সেখানে সাকিব আল হাসানকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে সাকিব ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে কালই চলে যাচ্ছেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। সিপিএলে লিগ পর্বের খেলা অবশ্য শেষ পর্যায়ে। সাকিবের দল বার্বাডোজের ম্যাচ বাকি আছে চারটি। ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দলটি পয়েন্ট তালিকায় আছে চারে। বার্বাডোজ যদি ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পেরে সিপিএলে সাকিবকে ব্যস্ত থাকতে হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তত দিনে জাতীয় লিগের দুটি রাউন্ড হয়ে যাওয়ার কথা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরম্যান্সে বারবার সামনে চলে এসেছে দেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির (এনসিএল-বিসিএল) প্রসঙ্গ। জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় এনসিএল-বিসিএল খেলেন না। সাকিবই যেমন সবশেষ ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক অবশ্য বলেছেন, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেললে তাঁর খুব একটা সমস্যা হয় না, ‘আমি তো চার-পাঁচ বছর খেলিনি, কোনো সমস্যা হয়নি।…সবার এক ওষুধে কাজ হবে, এটা বলা ভুল।’

এবারও যে সাকিবের জাতীয় লিগ খেলা হচ্ছে না, সেটি বোঝাই যাচ্ছে। জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারদের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার শর্ত থেকে মুক্ত। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলছেন, ‘আমরা শুধু ওকেই সিপিএল খেলার এনওসি দিয়েছি (আরেক ক্রিকেটার আফিফ হোসেনকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি)। সিপিএলের মতো বিদেশি লিগগুলোর মান অনেক ভালো। সেখানে খেলার সুযোগ পেলে তাকে আমাদের অনুমতি দেওয়া উচিত।’

নির্বাচক হাবিবুল বাশারও সাকিবের জাতীয় লিগ খেলার বাধ্যবাধকতা দেখছেন না, ‘অনেক দিন পর এবার একটা ফাঁকা সময় পেয়েছি যখন জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কোনো ব্যস্ততা নেই। সবাই তাই জাতীয় লিগ খেলতে চাইছে। আর সাকিবের ব্যাপারটা হয়েছে, সে তো পরীক্ষিত খেলোয়াড়। যেকোনো সংস্করণে তাঁকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বিদেশি লিগে যদি খেলার সুযোগ থাকে তখন তাকে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাওয়া আসলে কঠিন। সে টেস্টে ধারাবাহিক পারফরমার। তাঁকে বাইরে খেলার সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে।’