মেসির ব্যালন ডি'অর জেতার সম্ভাবনা কম যে কারণে

ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন মেসি কিন্তু ব্যালনে তা হতে পারবেন? ছবি: এএফপি
ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন মেসি কিন্তু ব্যালনে তা হতে পারবেন? ছবি: এএফপি

তিন বছর পর বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন লিওনেল মেসি। গতকাল ২০১৯ ফিফা দ্য বেস্টের সেরা পুরুষ খেলোয়াড় হয়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লুকা মদরিচের কারণে উয়েফা, ফিফা ও ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে বিজয়ী হিসেবে ওঠার সুযোগ হয়নি মেসির। এ বছরও উয়েফা বর্ষসেরা হয়েছেন ভার্জিল ফন ডাইক। গতকাল ফিফার পুরস্কার জয়ের পরও ধারণা করা হচ্ছে ব্যালন ডি’অর এবারও ফাঁকি দেবে মেসিকে।

শুরুতে ফিফা পুরস্কার ও ব্যালন ডি’অরের মধ্যে পার্থক্যটা জানিয়ে দেওয়া দরকার। দুটোই বর্ষসেরা পুরস্কার হলেও বিজয়ী নির্ধারিত হয় দুইভাবে। ফিফার পুরস্কারে সমান ২৫ শতাংশ পয়েন্ট থাকে সাংবাদিক, জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক ও সমর্থকদের কাছে। জাতীয় দলের অধিনায়কেরা মেসিকেই এবার বেশি পছন্দ করেছেন। ৩৭৭ ভোট পাওয়া আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ডাচ ভার্জিল ফন ডাইকের চেয়ে ৪০ ভোট বেশি পেয়েছেন। রোনালদো পেয়েছেন ৩৩০ ভোট।

জাতীয় দলের অধিনায়কদেরও ভোটে এগিয়েছিলেন মেসি। তাঁর ৩৭৯ ভোটের পরে আছে রোনালদো (৩০৭)। অধিনায়কদের সুনজরে ছিলেন না ডিফেন্ডার ডাইক (২৮৯)। সমর্থকেরাও ডাইককে মেনে নিতে পারছিলেন না বর্ষসেরা হিসেবে। সমর্থকদের কাছ থেকে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়েছেন মেসি। রোনালদো পেয়েছেন ৯ লাখ ৬২ হাজার ৯১৯ ভোট। আর উয়েফার সেরা খেলোয়াড় হওয়া ডাইক পেয়েছেন মাত্র ৭ লাখ ৪ হাজার ২৩৫ ভোট।

মেসির জন্য দুশ্চিন্তার কারণ সাংবাদিকদের ভোট। আর এটাই লিভারপুল ডিফেন্ডারকে ব্যালন ডি’অরে ফেবারিট করে তুলছে। শীর্ষ সাংবাদিকদের ভোটেই ব্যালন ডি অরের বিজয়ী নির্ধারিত হয়। ফিফা বেস্টে সাংবাদিকদের চোখে ডাইকের ধারেকাছে ছিলেন না মেসি-রোনালদো। সাংবাদিকদের কাছে ৪৬২ ভট পেয়েছেন ডাইক। দুইয়ে থাকা মেসি পেয়েছেন ৩৬৪ ভোট। আর রোনালদো ২৬৪ ভোট।

মেসিভক্তদের জন্য আশার বিষয় হলো, ব্যালন ডি’অর বছরের শেষ দিকে দেওয়া হবে। ফলে ভোটের সময় এখনো বাকি। এর মাঝেই যদি বার্সেলোনার হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন মেসি, সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের পছন্দ বদলে যেতেও পারে।