পাকিস্তানে 'বিশ্বাসঘাতকতা'র শিকার আর্থার

মিকি আর্থার ও মিসবাহ। যখন দুজন একসঙ্গে ছিলেন। ছবি: এএফপি
মিকি আর্থার ও মিসবাহ। যখন দুজন একসঙ্গে ছিলেন। ছবি: এএফপি

পাকিস্তান কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হওয়ার কষ্ট এখনো ভুলতে পারেননি মিকি আর্থার। গত বিশ্বকাপ শেষে দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দলে কোচের পদ হারান এ দক্ষিণ আফ্রিকান। এত দিন পর তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর দাবি, পাকিস্তান ক্রিকেটে যাদের বিশ্বাস করেছিলেন তারাই পিঠে ছুরি মেরেছে!

আর্থার পাকিস্তানে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের কোচ হয়েছিলেন। বিশ্বকাপে পাকিস্তান প্রত্যাশামতো ফল পায়নি। এর পরপরই কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে আর্থার নিজে পিসিবির উচ্চপর্যায়ের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বিশ্বাস করেছিলেন তাঁদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারাই আর্থারের মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। সংবাদমাধ্যমকে এমন কথাই বলেছেন আর্থার।

দক্ষিণ আফ্রিকান এ কোচের মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পিসিবি ক্রিকেট কমিটি। এ কমিটিতে ছিলেন ওয়াসিম আকরাম ও মিসবাহ-উল হকের মতো পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। আর্থারের অধীনে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে কিছুদিন জাতীয় দলেও খেলেছেন মিসবাহ। আর্থার ছাঁটাই হওয়ার পর তাঁর জায়গায় প্রধান কোচ পাশাপাশি প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিসবাহ। ইএসপিএন স্টাম্প মাইক পডকাস্টকে এ নিয়ে আর্থার বলেন, ‘শুধু একটাই কষ্ট কিছু মানুষকে খুব বিশ্বাস করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা কথা রাখেনি। আমি (পিসিবি) উচ্চ পর্যায়ের কথা বলছি না, ক্রিকেট কমিটিতে থাকা লোকদের কথা বলছি। তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। তারা মুখে বলেছে একরকম কিন্তু করেছে অন্যরকম। এটাই হতাশার।’

গত আগস্টে পিসিবি ক্রিকেট কমিটি পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে আর্থারের মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পাকা করে। এ কমিটিতে আরও ছিলেন পিসিবি প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান, সাবেক ক্রিকেটার হারুন রশীদ, জাকির খান, মুদাসসর নজর ও পাকিস্তান নারী দলের অধিনায়ক উরুজ মুমতাজ। পিসিবি সভাপতি এ কমিটি গঠন করার সময় আর্থার নিজেই মিসবাহ ও ওয়াসিম আকরামের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। আর্থারের কষ্ট এটাও। মিসবাহ তাঁকেই বাদ করে দিলেন!

তবে মিসবাহর প্রতি শুভ কামনাই জানিয়েছেন আর্থার, ‘মিসবাহ ভালো করবে। সে ভালো মানুষ আর পাকিস্তান ক্রিকেটও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কষ্টের বিষয় হলো, আমি নিজের চাকরিটার প্রতিটি সেকেন্ড উপভোগ করেছি।’