বড় পরীক্ষার সামনে অভিজ্ঞ রাজ্জাক-তুষাররা

>জাতীয় লিগে এবার ফিটনেসকে ভীষণ গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কারও কারও আশঙ্কা, ফিটনেসের ফাঁদে ফেলে তাঁদের বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রধান নির্বাচক অবশ্য বলছেন, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত।
তুষার-রাজ্জাকদের নতুন পরীক্ষা এবার। ছবি: প্রথম আলো
তুষার-রাজ্জাকদের নতুন পরীক্ষা এবার। ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় লিগে সব সময়ই তাঁরা দুজন ধারাবাহিক পারফরমার। ব্যাটিংয়ে তুষার ইমরান এবং বোলিংয়ে আবদুর রাজ্জাক—ক্যারিয়ারের এই গোধূলিতে এসেও দুজন ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুর্দান্ত। তবে এবার জাতীয় লিগে রাজ্জাক-তুষারের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পড়তে হচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে।

গত বছর থেকে ঘরোয়া মৌসুম শুরুতেই ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে বিসিবি। এবারও লিগ শুরুর আগে ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফিটনেস পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ১ অক্টোবর। তবে গতবারের তুলনায় এবার ফিটনেসের পরীক্ষায় আরও কড়া হচ্ছে বিসিবি। গতবার যেখানে ব্লিপ টেস্টে ‘৯’ কিংবা ‘সাড়ে ৯’ পেলেও খেলার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। এবার সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে ‘১১’। ফিটনেসের এই পরীক্ষায় পাশ করলেই এনসিএল খেলার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটারা। ৩৫ পেরোনো যেকোনো ক্রিকেটারের কাছে এটি ভীষণ কঠিন পরীক্ষা। সবশেষ জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ব্লিপ টেস্টে বাংলাদেশ দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় গড়ে ‘১০’ পেয়েছিলেন। সিনিয়র ক্রিকেটারদের আশঙ্কা, ফিটনেসের ফাঁদে ফেলে তাঁদের বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন অবশ্য বলছেন, কাউকে বাদ দেওয়ার চিন্তা থেকে নয়, বরং ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত, ‘তারা (অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা) যদি ফিটনেস উতরে যেতে পারে, খেলবে। এবার ফিটনেসের ব্যাপারটা আমরা ভীষণ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। ব্লিপ টেস্টে ‘১১’-এর নিচে থাকলে কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা চাইছি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা লিগ করতে। সে ভাবনা থেকেই ফিটনেসটা প্রাধান্য পাচ্ছে।’

আপাতত প্রতিটি বিভাগে যে ৩০ জনের দল করা হয়েছে, সেখানে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা আছেন। তবে ফিটনেস পরীক্ষার পর সেটি নেমে আসবে ১৮ জনে। এক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফিটনেসের চ্যালেঞ্জটা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন নির্বাচকদের দিকে, ‘সিনিয়র ক্রিকেটাররা যদি উতরে যেতে পারে আর ধারাবাহিক ভালো খেলে তাদের কি জাতীয় দলে সুযোগ মিলবে? ব্লিপ টেস্টে ‘১১’ পাওয়া বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্যই কঠিন। তরুণে ক্রিকেটাররা হয়তো পারবে। কিন্তু এখানে বয়স একটা ব্যাপার। ৩৫ পার হওয়া একজন ক্রিকেটারের কাছে এটা একটু কঠিন। তবুও চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছি।’

ফিটনেস টেস্টে উতরে যেতে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা বেশির ভাগ খেলোয়াড় হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ফেসবুকে নিজেদের কার্যক্রমের ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁদের।

এবারের জাতীয় লিগ হবে মোট ৯টি ভেন্যুতে। আপাতত লিগ শুরু হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ অক্টোবর। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ২৯ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্ট কমিটির সভায়। অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা নেই। এবার জাতীয় লিগে তাই বিশেষ নজরই থাকছে সবার।