বলটা ভালো হবে তো?

জাতীয় লিগে এমন বল দিয়েই খেলা হয়। ছবি: প্রথম আলো ফাইল ছবি
জাতীয় লিগে এমন বল দিয়েই খেলা হয়। ছবি: প্রথম আলো ফাইল ছবি
>ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিটনেস পরীক্ষা নিয়ে নানা কথাই শোনা যাচ্ছে গত কিছুদিন। অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শরীফ বলছেন, ফিটনেসের সঙ্গে ভালো মানের বলও সরবরাহ করতে হবে জাতীয় লিগে

জাতীয় লিগের আগে এবার ফিটনেস টেস্ট নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক । কদিন আগে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানিয়েছেন, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হলে বিপ টেস্টে ১১ পেতেই হবে। ফিটনেস টেস্টের সঙ্গে আরেকটি প্রসঙ্গ চলে আসছে সামনে, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বলটাও হতে হবে ভালো।

ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্য অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মতো মোহাম্মদ শরিফও বেশ চিন্তিত ফিটনেস টেস্ট নিয়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৯৩ উইকেটশিকারি এই পেসারের চোখে বিপ টেস্টে ভালো করা আর ম্যাচ ফিটনেস এক নয়, ‘পরীক্ষা দেওয়ার আগে সবার একটু চিন্তা থাকে। ধরুন, একজন ১৪ (পরীক্ষায়) পেল তার যদি ম্যাচ ফিটনেস না থাকে, তার যদি ম্যাচ খেলার সামর্থ্য না থাকে তাহলে এ নম্বর পেয়ে কী লাভ? এমন আছে হয়তো ৮ কিংবা ৯ পেল, কিন্তু সে ডাবল সেঞ্চুরি বা ১০ উইকেট পাচ্ছে। এখন আমার পারফরম্যান্স দেখা উচিত না ১৪? আমাদের দেশে যে আবহাওয়া, আর্দ্রতা—এসবও তো দেখতে হবে। ম্যাচ ফিটনেস যাদের বেশি, তাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’

হুট করে বিপ টেস্টের এমন মান নির্ধারণের আগে শরীফ মনে করেন, ফিটনেস নিয়ে প্রস্তুতির অন্তত এক মাস সময় দেওয়া উচিত ক্রিকেটারদের। শুধু ফিটনেসের এ মানদণ্ড নিয়ে নয়, শরীফের প্রশ্ন আছে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যবহৃত বল নিয়েও, ‘উইকেট অনেক সময় শুষ্ক থাকে। কিন্তু যে বল দেওয়া হয়, সেটি অনেক সময় নরম থাকে। এ কারণে বল এবং উইকেট না মিললে আসলে সেখানে ভালো ফল আসে না।’

বলের প্রসঙ্গটা আরও একটু ব্যাখ্যা করলেন ৩৩ বছর বয়সী পেসার, ‘আমরা খেলি এসজি বল দিয়ে। জানি না এটা গ্রেড ওয়ানের কি না। হতে পারে। আবার আমরা ভালো বল নাও পেতে পারি। অনেক সময় অনেক দিনের পুরোনো বল চালিয়ে দেয়। না বুঝেই হয়তো দিচ্ছে। আমরা যেখানে খেলি এখানে বলটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি শুকনো উইকেটে খেলি, বলটা ভালো থাকে তখন মানিয়ে নেওয়া যায়। যদি গত কয়েক বছরের রেকর্ড দেখেন, নতুন বল যদি ৪-৫ ওভারের মধ্যে বদলাতে হয় তাহলে আমরা কোথায় আছি বুঝতে হবে।’

ঘরোয়া ক্রিকেটের কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সঙ্গে অবশ্য কথা বলে জানা গেল, কোন দলের সঙ্গে বাংলাদেশ দল টেস্ট খেলবে বা কাদের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ চলছে, সেটির ওপর নির্ভর করে জাতীয় লিগ (এনসিএল) বা বিসিএলে কোন ব্র্যান্ডের বল দিয়ে খেলা হবে। দেশের মাঠে যদি উপমহাদেশের কোনো দলের সঙ্গে টেস্ট খেলে বাংলাদেশ, তখন এনসিএল-বিসিএলে অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা ‘কুকাবুরা’ বলে খেলা হয়। উপমহাদেশের বাইরের দলের সঙ্গে খেললে এনসিএল-বিসিএলে সরবরাহ করা হয় ভারত থেকে আনা ‘এসজি’ বল। এসজি বল নিয়ে শরীফ প্রশ্ন তুললেও কোকাবুরা বল নিয়ে অবশ্য আপত্তি নেই কারও।