কোহলি ও মিয়াঁদাদকে পেছনে ফেললেন বাবর

সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে দর্শনীয় শট বাবর আজমের। ছবি: এএফপি
সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে দর্শনীয় শট বাবর আজমের। ছবি: এএফপি

সময়ের হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর। এত দিন পর করাচিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরা পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকল বাবর আজমের জন্য। কাল তাঁর ১১৫ রানের ইনিংসে ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতেছে পাকিস্তান। তিন বছর আগে বাবর আজম তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন এই একই দিনে!

সেটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শারজায়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে বাবরের ওয়ানডে সেঞ্চুরিসংখ্যা ১১টি হয়ে গেল। এ সংস্করণে তাঁর নামটা এখন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার সঙ্গেই উচ্চারিত হয়ে থাকে। আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যানও যথাক্রমে—কোহলি, রোহিত ও বাবর। এ বছর ওয়ানডেতে কোহলির (৮) চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন বাবর (৯), স্ট্রাইকরেটে ছাপিয়ে গেছেন রোহিতকে। পরিসংখ্যানের আরও একটি পাতায় ভারতীয় অধিনায়কের চেয়ে এগিয়ে বাবর।

ওয়ানডেতে তৃতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন বাবর। ৭১ ইনিংসেই ১১তম সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন তিনি। কোহলি এ তালিকায় চতুর্থ দ্রুততম। ৮২তম ইনিংসে এসে ১১টি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কোহলি। হাশিম আমলা এ তালিকায় দ্রুততম। তাঁর লেগেছে ৬৪ ইনিংস। শুধু কোহলি নন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদকেও পেছনে ফেলেছেন বাবর। এক পঞ্জিকাবর্ষে পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড এখন ২৫ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যানের দখলে।

১৯৮৭ সালে মাত্র ২১ ইনিংসে ন্যূনতম ১০০০ রান তুলে রেকর্ডটি এত দিন দখলে রেখেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘বড়ে মিয়া’খ্যাত মিয়াঁদাদ। বাবর তাঁকে পেছনে ফেললেন মাত্র ১৯ ইনিংসেই।