ক্লাবগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

ক্লাবগুলোকে জবাবদিহি ও নজরদারির মধ্যে আনতে চায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত
ক্লাবগুলোকে জবাবদিহি ও নজরদারির মধ্যে আনতে চায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

খেলার ক্লাবে ক্যাসিনো নিয়ে এ মুহূর্তে চলছে তোলপাড়। মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্স, ইয়ংমেনস ফকিরেরপুল, দিলকুশা, আরামবাগ প্রভৃতি ক্লাবে জুয়া খেলার রাজকীয় ব্যবস্থা হতবাক করে দিয়েছে খেলাপ্রেমীদের। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ পরিস্থিতিতে দেশের সব খেলার ক্লাবকে জবাবদিহি ও নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসার কথা ভাবছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল মনে করেন, খেলার ক্লাবগুলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকা উচিত।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রীড়ামন্ত্রী ক্লাবে ক্যাসিনো ও জুয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, নামকরা সব ক্লাবগুলো ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। জাহিদ আহসান বলেন, ‘খেলার ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা থাকা খুবই দুঃখজনক। এসব ক্লাব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত না হওয়ায় নজরদারির সুযোগ কম। তবে সময় এসেছে আইন পরিবর্তনের।’

তিনি ক্লাবগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্লাবগুলো যেহেতু লিমিটেড কোম্পানি তাই এগুলোতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নজরদারি করতে পারে না। ভবিষ্যতে ক্রীড়াঙ্গনের স্বার্থেই এই জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইয়ংমেনস ক্লাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর অস্তিত্ব প্রথম জানা যায়। এরপর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, দিলকুশা স্পোর্টিং ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘেও অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্যাসিনো-সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।