সুয়ারেজের জোড়া গোলে বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর জয়

সুয়ারেজের জোড়া গোলেই জয় পায় বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি
সুয়ারেজের জোড়া গোলেই জয় পায় বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি

ন্যু ক্যাম্পে অনেক বার্সা সমর্থক তখনো নিজের আসনটি খুঁজে পাননি হয়তো। ততক্ষণেই কিনা গোল হজম করে বসল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই মার্টিনেজের গোলে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকেরা। কিন্তু গোল ব্যবধানে পিছিয়েও ছেড়ে কথা বলেনি কাতালানরা। একের পর এক আক্রমণে ইন্টারের রক্ষণকে ব্যস্ত রেখেছে মেসি-সুয়ারেজরা। প্রথমার্ধে গোলের দেখা না মিললেও দ্বিতীয়ার্ধে সুয়ারেজের জোড়া গোলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

বল দখলে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। ইন্টারের চেয়ে স্বাগতিকদের আক্রমণেও ধার ছিল বেশিই। তবু বার্সেলোনার দুর্বল মাঝমাঠ আর ফাঁকা রক্ষণ দেখে সমালোচকেরা ভেংচি কেটেছে নিশ্চিত। তবে ভালভার্দের পরিকল্পনাতেই হয়তো ‘অ্যাটাক ইজ দ্য বেষ্ট ডিফেন্স’ তত্ত্ব লুকিয়ে ছিল। কিন্তু খেলার শুরুতে এটা বুমেরাং হয়েই দেখা দেয়। মাঝমাঠের জটলা থেকে সানচেজের দ্রুত বাড়ানো বল নিয়ে ভোঁ দৌড় দেন মার্টিনেজ। তাঁকে একাই থামানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন বার্সা ডিফেন্ডার ল্যাংলেট। বার্সার ফরাসি এই ডিফেন্ডারের চেষ্টা অবশ্য শেষতক আলোর মুখ দেখেনি। তাঁকে টেক্কা দিয়ে স্লাইডিং শটে টের স্টেগেনের ডান পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান মার্টিনেজ। চলতি মৌসুমে নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে বার্সেলোনা বারবারই ব্যর্থ হচ্ছে। এটা স্প্যানিশ জায়ান্ট সমর্থকদেরও হতাশার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমার্ধে ইন্টার মিলান আরও দু-একটি সুযোগ পেয়েও এলোমেলো শটে সেগুলো হাতছাড়া হয়। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি বার্সেলোনাও।

আজকের ম্যাচে বার্সার জয়ের দুই নায়ক মেসি ও সুয়ারেজ। ছবি: এএফপি
আজকের ম্যাচে বার্সার জয়ের দুই নায়ক মেসি ও সুয়ারেজ। ছবি: এএফপি

দ্বিতীয়ার্ধে নিজের শিষ্যদের কানে কী মন্ত্র পড়ে দিয়েছেন ভালভার্দে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ৫৮ মিনিটে বদলি নামা ভিদালের বাড়ানো বলে সুয়ারেজ যে ভলি নিয়েছেন সেটা আটকানোর সাধ্য কারওই ছিল না। বার্সেলোনার উরুগুইয়ান এই সেনার গোলে সমতায় ফেরে ভালভার্দের শিষ্যরা। এরপর অতিথিদের আরও চেপে ধরে মেসি-সুয়ারেজরা। মিনিট দু-এক পর ব্যবধান বাড়ানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। যদি মেসির করা থ্রো গ্রিজমান ফাঁকায় থাকা সুয়ারেজের কাছে বাড়াতেন, তাহলে গোলের দেখা পেলেও পেতে পারত স্বাগতিকেরা। কিন্তু নিজেই সাইড নেটে শট নেন গ্রিজমান। ৬৬ মিনিটে গ্রিজমানের বদলি হিসেবে নামেন ডেম্বেলে। তবে খুব বেশী বলের জোগান দিতে পারেননি ডেম্বেলে। ততক্ষণে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। 

অবশেষে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার ছয় মিনিট আগে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। এবারও নায়ক সুয়ারেজ। একাই বল টেনে নিয়ে ঘিরে ধরা ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে মেসি বল বাড়ান সুয়ারেজের দিকে। বলের গায়ে ঠিকানা লিখে দিতে এতটুকু ভুল করেননি সুয়ারেজ।