আজ ফুটবলেও বৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার হিসাব

সেট পিসের সময় ইয়াসিন, রাফি, জীবন, সাদের ভূমিকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন জেমি ডে। ছবি: প্রথম আলো
সেট পিসের সময় ইয়াসিন, রাফি, জীবন, সাদের ভূমিকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন জেমি ডে। ছবি: প্রথম আলো
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা সাতটায় দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ

ম্যাচের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? কথাটি বেশি ব্যবহৃত হয় ক্রিকেটে। ফুটবলের সঙ্গে আবহাওয়ার সখ্য বা শত্রুতা তেমন নেই বললেই চলে। কাঠফাটা রোদ বা মুষলধারে বৃষ্টি হলে ফুটবল ম্যাচের তেমন কিছু যায়–আসে না। কিন্তু আজ বাংলাদেশ বনাম ভুটান ম্যাচে ঘুরেফিরে আসছে আবহাওয়ার প্রসঙ্গ। কারণ বৃষ্টি হলে অতিথি দলটির জন্য সাড়ে সর্বনাশ। অ্যাস্ট্রো টার্ফে খেলে অভ্যস্ত ভুটান ৩ দিন আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কর্দমাক্ত মাঠে বাংলাদেশের কাছে ৪-১ গোলে উড়ে গিয়েছে। আজও যদি মাঠের অবস্থা তেমন হয়, তা নিয়েই চিন্তা ভুটান কোচ পেমারের।

২৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কর্দমাক্ত মাঠে স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেনি ভুটান। আজ শুকনো মাঠ পেলে বাংলাদেশকে পাল্টা জবাব দিতে চাইবে দলটি। কাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে ভুটান কোচ বলেছেন, ‘আগের ম্যাচে আমরা কর্দমাক্ত মাঠে ভালো খেলতে পারিনি। শুকনো মাঠ পেলে নিশ্চয়ই ভালো খেলব। আমরা ভুল শুধরে লড়াই করে ম্যাচটা জিততে চাই।’ কিন্তু আজও যদি বৃষ্টি হয়! ভুটান কোচের মুখে এবার হাসি উধাও, ‘তাহলে আলাদা কথা।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বরাবরই আশাবাদী মানুষ। ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচেও জয় বাংলাদেশ কোচের কাছে শেষ কথা। আগের ম্যাচের মতো আজও তাঁর বড় জয়ের লক্ষ্য। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দলটি বাংলাদেশের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে (১৮৫)। কিন্তু বাংলাদেশ তা গায়ে মাখছে না। ভুটানকে নিয়ে খুব একটা চিন্তিতও নয় স্বাগতিকেরা। বাংলাদেশ বরং ভাবছে সামনের কাতার ম্যাচ নিয়ে। কোচ জেমি ডে বলছেন, ‘আমরা এখন ভুটানের সঙ্গে খেলব, কিন্তু আসল লক্ষ্য কাতার। সেই ম্যাচেরই প্রস্তুতি এটি।’

বাংলাদেশের রক্ষণ নিয়ে চিন্তা থাকছে। রাইট ব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষ লাওস ও আফগানিস্তান ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন। এএফসি থেকে চিঠি এলে কাতার ম্যাচে থাকবেন না তিনি। স্টপার টুটুল হোসেন বাদশা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাঠের বাইরে। তাঁর জায়গায় সাইফের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার রাফি ভালোই খেলেছেন ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে। রক্ষণ ভাবনার সঙ্গে বাংলাদেশ কোচ সেট পিস নিয়ে গত দুই দিন কাজ করেছেন।

প্রথম ম্যাচে ভুটানকে দ্রুত প্রেসিং করে বল কেড়ে নিয়েছে বাংলাদেশ, যা অতিথি দলকে কিছুটা বিভ্রান্তিতে ফেলে। শুরুর দিকে বাংলাদেশ দল প্রতিপক্ষকে আসতে দিয়েছে নিজেদের সীমানায়। তারপর প্রেসিং করে দ্রুত উঠে গেছে আক্রমণে। আজও সেই একই পরিকল্পনা জেমির, ‘ভুটানের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচেও আগের পরিকল্পনায় খেলব আমরা। ছেলেরা সেরাটা দিলে না জেতার কারণ নেই।’ তবে ভুলে গেলে চলবে না, আগের ম্যাচে কর্দমাক্ত মাঠ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশকে। এমন মাঠে বাংলাদেশের ফুটবলাররা অভ্যস্ত।

ভুটানের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের লক্ষ্য কাতার ম্যাচের জন্য একাদশ ঠিক করা। বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ‘কোচ দলে বেশি বদলের পক্ষে নন। কাতারের ম্যাচে যাঁরা খেলবেন, মূলত ভুটানের বিপক্ষে তাঁদেরই একাদশে রাখছেন কোচ। তিনি আমাদের ওপর খুশি।’ খুশি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে অনেক দিন পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে (ভুটানের বিপক্ষে) বাংলাদেশের কোনো ফুটবলারের ২ গোল পাওয়ায়। নাবিব নেওয়াজের সেই ২ গোল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে দলের। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের ৪ গোলও বলার মতো অর্জন।